কবি কবিতা লিখতে ভুলে গেছে। আকাশে দূর্বাঘাস গজিয়েছে।
কেউ প্রশ্ন করেনি।
প্রশ্নকর্তা সুশীল ছিল। এখন ক্যান্সার হয়েছে।
পোড়া কপাল। চার আঙুল কেন? দশ আঙুলেও মাপতে পারেনি।


বেশ বয়সী গাছ। একা দাঁড়িয়েছিল। কোনো কাজ নেই।
তাই উইপোকা খেয়ে ফেলেছে।
সব খাবারে পেট ভরে। কেবল ঘুষ খাওয়াতে ভরে না।
যাযাবর মনের তৃষ্ণা কখনও মিটে না। চামচিকা মন সদর
রাস্তা ঘাটে না।


মিথ্যা সত্যের চেয়ে কখনও শক্তিশালী হয়। তবে সত্য সত্যই থেকে যায়।    
বিবেক মরে গেছে। কোন সমস্যা নেই।
তুমি তো বেঁচে আছ। সে আবার জীবন ফিরে পেতে পারে।
সব ঠিক আছে। কোনো রাবিশ নেই।
কিছুই ঠিক নেই। সব রাবিশ আছে।  


অতিকায় হস্তী লোপ পায়। তেলাপোকা টিকিয়া থাকে।
এই কথা কেউ মানে না। প্রয়োজন নেই।
গঞ্জের হাটে জীবন বিক্রি হয়। যার ইচ্ছা হয় সে কিনে রাখে।
নাগরিক মন চিড়িয়াখানায় ঘুরে। খাঁচায় বন্দি পাখির মতো ছটফট করে।


যা বলতে চাই, তা বলি না। যা বলতে চাই না, তা বলি।  
কেউ কথা বলে না। সবাই কথার কথা বলে।
শ্বেতপত্র ঝুলিয়ে রাখে যেখানে-সেখানে। অর্ধেক বাঁচার চেয়ে মরা ভাল।
কালো আর সাদায় কোনো প্রভেদ রাখে না।