মেঘ চাঁদকে ঢেকে দিলো। চাঁদ অভিযোগপত্র নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরলো।  
কেউ অভিযোগ আমলে নিলো না।
ইঁদুরটা খেলছিলো। পাশেই সিংহ মামা ঘুমাচ্ছিল। ইঁদুরটা সাবধান ছিলো।
ঘুম ভেঙে পশুরাজ কিছুই বললেন না। চেলা-চামুণ্ডারা মামলা ঠুকে দিলো।
একদিনও দেরি না করে বিচারক শেয়াল অভিযোগ আমলে নিলো।
সবাই দেখলো। কেউ কিছু বললো না। অথবা বলতে পারলো না। চমৎকার হলো।


মেয়েটা মারা গিয়েছিলো। কবর থেকে তুলে এনে ধর্ষণ করা হলো।
অভিযোগ কোথায় করতে হবে? কেউ বলতে পারলো না। কেউ কেউ বলল,
যেহেতু সে মৃত; পরলোকেই অভিযোগপত্র দাখিল করতে হবে। আবার কেউ বললো,
অপরাধ যেহেতু ইহলোকে সংঘটিত হয়েছে, সুতরাং অভিযোগপত্র
এখানেই দাখিল করতে হবে। অনেক তর্ক-বিতর্ক হলো। কোনো ফায়সালা হলো না।
বিচারের বাণী নীরবেই কাঁদতে থাকলো। ক’দিন পরে সবাই সব ভুলে গেল।


ছেলেটা নকল করছিলো। পাশের জন দেখছিলো। ভাল লাগেনি।
টিচারকে বলে দিলো। টিচার বহিষ্কার করেননি। হাত-পা কাঁপতে লাগলো।  
পরের দিন ছেলেটা পরীক্ষা দিলো। পাশের জন পরীক্ষা দিতে আসলো না।
জীবনের শেষ পরীক্ষা দিয়ে ফেলেছে। লাশ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ওর বাবা-মা অভিযোগপত্র দিতে চেয়েছিলো। কেউ গ্রহণ করেনি। রীতি নেই।
শক্তিশালীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে হয় না। পানি সব সময় নিচের দিকে গড়ায়।


রাতটা ভোর হতে চেয়েছিলো। পরদাদা রাজি হয়নি। অন্ধকারের নেশায় পেয়ে বসেছে।
কোনো অভিযোগ দেইনি। আশা করেছিলাম। বাসা বাঁধতে পারিনি।
তুমি আসবে বলেও আসলে না। কার কাছে অভিযোগ দেব? জানি না।
বসন্ত এসেছিলো। সেও ফিরে যাচ্ছে। মনের কথা গুলো কবিতায় বলে যাচ্ছে।
কোনো অভিযোগ নেই। নিজেকে ছাড়া। পৃথিবী এখন এমনি। খাপছাড়া।।