(একটি নারী দিবসীয় কোবতে)


যে আগুন জ্বালিয়ে গিয়েছ এই বুকে, চোখে দেখিনি।
কতো চেষ্টা জল ঢেলে দিয়েছি, কিছুতেই নেভাতে পারিনি।
তুঁষের আগুন কী?
কেবলই শুনে এসেছি, আগে বুঝিনি। আজ বুঝেছি।


মনে করে দেখো, একটিও কানাকড়ি ছাড়াই লিখে দিয়েছিলাম
প্রশান্তের সব জল! তুমি নাওনি।  
শুধু তাই নয়
আরও মনে দেখো, একটিও কানাকড়ি ছাড়াই লিখে দিয়েছিলাম
সাত তবক আসমান, সাত তবক জমিন! তুমি নাওনি।


কী তবে ভেবেছিলে দেবী? জানি, আমার এই লিখে দেওয়া
শেষ পৌরুষটা তোমার ভাল লাগেনি!  
সব কিছু উজাড় দিয়ে আমিও কি তবে ভুল করিনি?
সব থেকেও আজ আর আমার কিছুই নেই---------!!

আজ আমায় দেখে সবাই হাসাহাসি করে। আর দৈন্যতার
চাদরে মোড়া আমার অকালবৃদ্ধ পৌরুষ; সেও নিরবতার
রাজসাক্ষী হিসাবে মহাকালের দিকে তাকিয়ে থাকে!  


আজ শ্লোগান মুখর ঝাঁঝালো সন্ধ্যাটা শুধুই তোমার  
শিউলি ফোঁটা সুবেহ সাদিক, তাও তো কেবলই তোমার  
উষ্ণতার মোড়ক বন্দী কবোষ্ণ রাত; সেও তো আগে থেকেই
তোমার ছিলো!  
তাহলে একবার ভেবে দেখো ---ভেবে দেখো,
আমার জন্যে তবে আর কী বাকি রইল?
তুমি ছিলে আমার সব ছিল, তুমি নেই আমার আর কিছুই নেই!!