মানুষের মাঝে বড়লোক যেমন আছেন। তেমনি ছোটলোকও আছেন।  
কেউ বড়লোক হয়ে জন্ম গ্রহণ করেননি। কেউ ছোটলোক হয়েও জন্মগ্রহণ করেননি।  
মানুষই মানুষকে বড়-ছোট বানিয়েছেন। ভিনগ্রহ থেকে কেউ এসে বানিয়ে দিয়ে যাননি।
আগে ব্যবহারে  বড়লোক-ছোটলোক নির্ধারিত হতো। এখন টাকার মানদণ্ডে হয়।
কতো কিছুই তো বদলে যায়! এটিও বদলে গেছে। কোনো সমস্যা নেই।


টাকশালে টাকা থাকে। অনেক সময় টাকমাথা মানুষকেও জ্ঞানী বলে মানা হয়।  
পৃথিবীর সব টাক মাথা মানুষই কিন্তু জ্ঞানী নয়। টাক নেই এমন মানুষও জ্ঞানী হয়।
তবে আজকাল টাকা থাকলেই জ্ঞানী হওয়া যায়। বিজ্ঞের মতো ভান করা যায়।
বড়বড় বুলি আওড়ানো  যায়। আঙুলের ইশারায় শত শত মানপত্র কেনাও যায়।  


আগে মান দিলে সম্মান পাওয়া যেত। এখন পাওয়া যায় না। টাকা দিয়ে কিনতে হয়।
কৃষক,শ্রমিক এঁরা সারাদিনই শরীরের ঘাম ঝরান। কেউ তাদের মান দেন না।
ছোটলোককে মান দিতে হয় না। ঘাড়ে উঠে বসে। তারা বানরের মতো। অর্ধেক মানুষ।
পুরোপুরি মানুষ না। তাদের রক্তের ফোঁটা আমরা সবাই খাই। তবু তাঁরা মানুষ না।
এঁরা ছোটলোকের জাত। এলিয়েন। অন্য গ্রহ থেকে এসেছে।  


কছিম উদ্দিন আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন। তাঁকে সম্বর্ধনাও দেওয়া হয়েছে।  
মানপত্রও পাঠ করা হয়েছে। আগে তিনি আউট’ল ছিলেন। দেদার টাকা-পয়সা আছে।  
অতঃপর রাজনীতিতে যোগ দিলেন। রাজনীতি তাকে সব দিয়েছে। মান দিয়েছে। সম্মানও।
বিধাতা যাকে দেন। এমনি করেই দেন। তবে তিনি সব কিছুর হিসাব রাখেন।


কবি সাহিত্যিক এক সময় মানী ব্যক্তি ছিলেন। এখন আর এতোটা মান নেই।
কেউ কেউ তো দুই ধাপ এগিয়ে কথা বলতে ছাড়েন না। পাগল বলেন। ছাগলও বলেন।
তবে তাতেই তাঁরা পাগল হয়ে যাননি। ছাগলও হয়ে যাননি।
মানী’র মান কখনও যায় না। মানপত্র কেনা যতোটা সহজ; মান কেনা ততোটা না।