দুই নগরীতে এখন মনোনয়নপত্রের মহোৎসব চলছে। ঠিক আছে। দরকার আছে।
মনোনয়নপত্রের দৌড়ে যে-ই নির্বাচিত হউন না কেন, সেটা বড় ব্যাপার নয়।
বড় ব্যাপার হলো, নির্বাচিত ব্যক্তি আর মনোনীত ব্যক্তি এক কথা নয়।
কোনোদিন হতেও পারে না। নির্বাচিতের দায়বদ্ধতা থাকে। জবাবদিহিতা থাকে।
অনির্বাচিতের কোনো দায়বদ্ধতা থাকে না। জবাবদিহিতা থাকে না।


পত্রিকান্তরে জানতে পারলাম, কোনো এক ওয়াটার এইড।  
আগামির নগর পিতার কাছে একটি আবেদন জানিয়েছে। পাবলিক টয়লেট চাই।
পুরুষ বান্ধব পাবলিক টয়লেট। নারী বান্ধব পাবলিক টয়লেট। উত্তম প্রস্তাবনা।
নগরীতে অন্যান্য সমস্যা যেমন আছে। এই সমস্যাও তেমন আছে।
আশা করা যায়, সমস্যাটি মিটে যাবে। এতে খুব বেশি টাকার প্রয়োজন নেই।
আন্তরিক সদিচ্ছার প্রয়োজন। যা আমাদের সবারই আছে।


এক সুন্দরী রমণী রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। পথে যার সাথেই দেখা হলো,
সে-ই তার প্রেমে পড়ে গেলো। পরদিন দেখা গেলো, সুন্দরীর বাড়ির সামনে
অনেক পুরুষের ভিড়। সবাই তাকে বিয়ে করতে চায়। হুলুস্থুল কাণ্ড-কারখানা।
এক জ্ঞানী ব্যক্তি এসে বললেন, অবস্থা তো বেগতিক দেখছি! তাদের মধ্য থেকে
একজনকে মনোনীত করা হউক। বেশ আর যায় কোথায়?
সাথে সাথে শুরু হয়ে গেলো হৈ-হল্লা! চিৎকার। চেঁচামেচি। মানি না। মানব না।


অন্য একজন মান্যবর এসে বললেন, মনোনীত করা কোন সমাধান নয়।
কিভাবে মনোনীত করা হবে? ক্রাইটেরিয়া কী? এটা কোনো সমাধান হতে পারে না।
প্রার্থীদের মাঝে শক্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হউক। যে-ই জিতবে সে-ই এই রমণীর
পাণি গ্রহণ করবে।  
এক দল সাথে সাথে এই প্রস্তাব গ্রহণ করলো। আরেক দল  প্রত্যাখ্যান করলো।
আবার শুরু হলো অচলাবস্থা। শেষ পর্যন্ত সুন্দরী রমণী নিজেই নেমে এলেন।
এসে বললেন,
আপনারা ধীর-স্থির হয়ে বসুন। আমি নিজেই আমার বর মনোনীত করব।
সবাইকে মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হলো।
শুরু হলো স্বয়ংবর সভা। সুন্দরী ভদ্র মহিলা পায়চারি করছেন। গভীর ভাবে
সবাইকে পর্যবেক্ষণ করছেন। একটা থমথমে অথচ সুন্দর পরিবেশ।
হঠাত করে একটি ঘটনা ঘটে গেলো। এমন যে ঘটতে পারে কেউ ভাবতেই
পারেনি।
সবাই তাকিয়ে দেখলো। কোথা থেকে কে একজন এসে সুন্দরী  রমণীকে তুলে নিয়ে গেলো!!
কেউ কিছু বলতে পারলো না। যার যার পথে চুপচাপ হাঁটা দিলো।।