আজ কবিতার মনটা ভালো নেই, সেই সাথে ভালো নেই শরীরটাও!
সারাদিন শুয়েছিলো। উত্তরে হাওয়া একটু পর পর এসে দেখে গেছে।
মুছে দিয়ে গেছে ক্ষণে ক্ষণে ভিজে যাওয়া দু’চোখের কোণ। অথচ তাঁর
মনের ভেতর যে ক্ষরণ শুরু হয়েছে; কেউ তাঁর খবর রাখে না।।


এখন কবিতার জীবন কবিতার মতোই! কেউ মনে করে না।
দু’একজন পাঠক যেমন কবিতা না পড়েই মন্তব্য জুড়ে দেয়,
বেশ হয়েছে। খুব ভালো। অনবদ্য। অসাধারণ---!!
কবিতার জীবনটাও এখন তেমনি; কোনো প্রাণের ছোঁয়া নেই।
সে এখন সারাদিন আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে
আর মনে মনে ভাবে,
এখন কবিরা কি ঋণের দায়ে কবিতা লিখে; নাকি
প্রাণের টানে লিখে, সামাজিক দায়বদ্ধতার কারণে লিখে?
সে কিছুই বুঝতে পারে না। তাঁর খেয়ালি মন এসব ভুলে যেতে চায়।
কিন্তু কোনোমতেই ভুলতে পারে না।


সে অবাক চোখে দেখে, সব কিছু সেই আগের মতোই আছে।
এই সেই বটতলা! এই সেই কদমতলা। এই সেই পলাশীর প্রান্তর!  
সবকিছু। সবকিছু। সেই আগের মতোই আছে। একটুও বদলায়নি।
কেবল বদলে গেছে মানুষ। মানুষের জীবন ধারা। কোনো মায়া নেই।
জড়বস্তুর মতো। প্রাণের টান নেই। আবেগ নেই। অনুভূতি নেই।
আশে-পাশে জমে আছে শতবর্ষের রাবিশ! কোনো পরিবর্তনই নেই।
কেবল পরিবর্তন হয়েছে ইট-পাথর। ভেঙে গেছে বোধের দেয়াল।  
পরিবর্তন হয়েছে মানুষের আচার-আচরণ। সামস্টিক চিন্তার স্থানটা
একটু একটু করে জবর-দখল করে নিয়েছে আত্মকেন্দ্রিকতা!


কবিতা কিছুতেই বুঝতে পারে না, এতে কী মানুষের মর্যাদা বেড়ে গেছে!
নাকি সামাজিক অবক্ষয়ের সাথে সাথে মানুষের মর্যাদাও
ভূলুণ্ঠিত হয়েছে! সে বুঝতে পারে না। কিছুতেই বুঝতে পারে না!!