একটা কবিতা লিখা শুরু করেছিলো তাঁরা দু’জন,
একটি একটি করে যোগ হচ্ছিল শব্দের মানসাঙ্ক,
মাঝে মাঝে চোখের পলক ফেলার আগেই
মাঠের বাইরে আছড়ে পড়ছিলো দুএকটি সার্থক বাক্য,
নয়ন জুড়ানো বিশাল চার অথবা ছয়; কবিতাটা তখন
আস্তে আস্তে বড় হতে শুরু করেছে,
জল পাহাড়ের মহাকাব্য! ঠিক যেন একটি পুনঃমুদ্রণ সুখ!
দল তখন একেবারে খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে আছে,
যে কোনো মুহূর্তে হ্যাংলা বাতাস এসে চ্যাংদোলা করে
নিয়ে যেতে পারতো আরেক পালক পরাজয়ের বৃত্তে!
হিমালয় পর্বতের মতো উঁচু ছয়শত আটাশ তখনও
দিব্যি চোখের সামনে পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে আছে,
কেউ জানতো না, তখনও কাব্যটা লেখা শেষ হয়নি!
এরপরের গল্পটা রামায়ণের চেয়ে কম নয়, অবিশ্বাস্য!
পাহাড় কেটে কেটে সমতট বানিয়ে দিলেন সেই দু’জন,
সময়ের পাথর গলে গলে পড়লো বাইশ গজের পিচের
উপর; সারাদিন একটানা কামান দাগিয়ে গেলো, একটা
স্ট্যাম্পও উপড়াতে পারলো না!!
একটা পুনঃমুদ্রণ সুখে রচিত হলো শব্দ থেকে বাক্য,
বাক্য থেকে কবিতা
অতঃপর
কবিতার পর কবিতা দিয়ে সৃষ্টি হলো অমর একটা
মহাকাব্য---------!!