কোনোদিন কাউকে বলো না---
কবিতা আজ আমাকে ফাঁকি দিয়ে এখন বর্ণমেলার হাত ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে  
টি এস সি থেকে দোয়েল চত্বর,
হাকিম চত্বর,
বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণ!
তবে
অপরাজেয় বাংলা থেকে বটতলা, ওরাও কোনো অংশে পিছিয়ে নেই;
পিছিয়ে নেই  
আশেপাশের দু’একটি চায়ের স্টল, ফুটপাত, সব্যসাচী দূর্বাঘাস কেউই;  
তারাও যেন প্রত্যেকেই এক একটি জীবন্ত কবিতা!  

কোনোদিন কাউকে বলো না---
কেউ একজন স্বর্গে গিয়েছিল-- ভাষা শহীদদের সাথে দেখা হয়নি!
কে জানি কানে কানে বলে দিয়েছে
প্রতিদিনই মেলায় এসে চুপচাপ বসে থাকে রফিক,জব্বারের অতৃপ্ত আত্মা!  
তাঁরা আবারও বুকের তাজা খুন ঢেলে দিতে চায়  
আবারও আরেকটি ৮ই ফাগুন ফিরিয়ে আনতে চায়
আবারও আরও গাঢ় রঙে রাঙিয়ে দিতে চায় শিমুল, কৃষ্ণচূড়ার বুক!  

কোনোদিন কাউকে বলো না----
আরও জানতে পারলাম, তাঁরা নাকি আর স্বর্গে ফিরে যেতে চায় না!  
কেবল প্রত্যয়ী চোখে একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করে,  
ধূলিকণার মতো তাদের উড়িয়ে নিতে চায় প্রগতিশীল বাতাস,
তবু তাঁরা কিছু বলে না।
দীর্ঘশ্বাস বুকের গভীরে চাপা দিয়ে রাখে, মহাবিস্ফোরণের অপেক্ষা করে!  
কার কাছে জানি শুনেছে, আমরা নাকি এখন অ,আ,ম বলতে লজ্জা পাই?
উড়ে এসে জোরে বসা পরদেশি বাবুর এ বি সি বলতে পেরে গৌরব কামাই!  

কোনোদিন কাউকে বলো না----
আমরা নাকি ভুলে যেতে বসেছি বাংলা ও বাঙ্গালির ইতিহাস?
তাঁরা অবাক হয়ে ভাবে এতো কিছুর পরেও আমরা কিভাবে চুপ করে আছি!
আমরা কি তবে আর বাঙালি নেই? এই প্রশ্ন তাদের কুরে কুরে খায়!  
তবে গোপন খবর একটা আছে, কোনোদিন কাউকে বলো না, বলে রাখছি!  
কোনোদিন কাউকে বলো না---  
শুনেছি, মা ডাক তাঁরা ভুলতে দেবেন না
কোনোমতেই মাতৃভাষার অমর্যাদা হতে দিবেন না
আর সেজন্যই-----
তাঁরা নাকি শহীদ মিনারে গণঅনশনের প্রস্তুতি নিচ্ছে!