==============================


কবি জানতেন, ওরা আসবেই
ওরা এলো,
উগ্র, উদ্ধত, উন্মত্ত, নেশাগ্রস্ত
হাতে চকচকে তলোয়ার, খঞ্জর, ত্রিশূল
চোখে খুনে দৃষ্টি,
মুখে রাজ্যের খিস্তি,
রক্তের এ নেশা মিটবে না কিছুতেই,
রক্ত স্নান হতেই হবে আজ।


দুটি প্রান্তে, দুটি দল, ভিন্ন মত
তবু কি একাত্ম
খড়্গহস্ত, নৃশংস।
কবি বিচলিত হলেন না,
কবিরা বিচলিত হয় না।
ভাবলেন,
এমন ই তো হবার কথা ছিল,
কদিন আগে বা কদিন পর।
তবে আর কয়েকটা দিন পেলে,
খুব ভালো হতো।
প্লাবিত জোছনায় নিমন্ত্রণ ছিল
স্নান করবার।
কাশবনের শুভ্রতায় আয়োজন ছিল
ছন্দ সাজাবার।
বহমান নদী, ভাটিয়ালি, রূপসী বর্ষা
নীল সমুদ্র, কদমফুল, উচ্ছল ঝর্ণা
কথা ছিল দেখা হবে আবার।
ছন্দে, নৃত্যে, গানে, উন্মুক্ত দ্বার
খোলা হাত
মমতা, ভালোবাসা, সৌম্যতা, কবিতা।
শুধু, আরো কয়েকটা কবিতা লিখার কষ্ট,
কষ্ট হয়ে জমে থাকলো কবির বুকে।


কবি চোখ তুলে তাকালেন।
ভয়ডর হীন সে চোখ দৃপ্ত, তেজস্বী
প্রখর আলোকময়, প্রদীপ্ত মৃত্যুঞ্জয়ী।
প্রমিত উচ্চারণে নির্ভয়,
বললেন,
"কবিতা কোনো মতবাদের নয়।
কবিতা মাথা নোয়াবার নয়।
কবি আর কবিতা,
মুক্ত মানুষের, মুক্ত পৃথিবীর।
আমার রক্ত স্নানে পবিত্র হবে এ মাটি,
মুছে যাবে হিংসা, দ্বেষ, ঘৃণা
যুদ্ধ, বিভেদ, সন্ত্রাস, নৃশংস হিংস্রতা
ধন্য তবে আমি,
এসো, আমি তৈরি"


====================