======================


কোনো এক সাধক পুরুষের সমাধিতে,
দুটি পাথর দেখেছিলাম।
নৈবেদ্যের বেদিতে সমাদৃত, পরম আরাধ্য
ধূপ, আগর, মোম, গোলাপ জল
প্রার্থনা, মানতের লাল সুতা, চোখের জল
কি অদ্ভুত, অপার্থিব,  দৈব, ঐশ্বরিক
ঈশ্বর  থেকেও যেনো এক পরমেশ্বর।
শুনেছি সেই পাথর দুটি,
একসময়, ছিল শুধু দুটি নুড়ি
সাধক পুরুষের পরম তত্ত্ব সাধনে সিদ্ধ
পরম পূজনীয়।
সেই থেকে পাথর দুটি যেনো জীবন্ত।
প্রতিদিন বড় হচ্ছে একটু একটু করে,
এক একক সত্তা যেনো, স্বতন্ত্র।


আমিও বুকে ,
তেমনি একটা পাথর বয়ে বেড়াচ্ছি প্রতিনিয়ত।
পাথরটাও বড়ো হচ্ছে প্রতিদিন,
একটু একটু,
আগে শুধু পাথরের অস্তিত্ত্বটা  টের পেতাম,
আর এখন পাথরটা ধীরে ধীরে,
প্রবল প্রতাপ পরাক্রম প্রচন্ডতায়,  
চেপে বসেছে বুকের উপর।
ইদানীং শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে,
অনেক বড়ো হয়ে গেছে পাথরটা।
ইচ্ছে করলেই ছুড়ে দিতে পারি যখন তখন,
তারুণ্যের দ্রোহে ভস্মে দিতে পারি সব,
তবুও অবাক আনুগত্যে বয়ে বেড়াচ্ছি পাথরটা,
জন্ম দাগের মতো।


পাথরটা বড়ই হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এভাবেই  বড় হতে হতে একদিন,  
হয়তো, পাথর চাপায় নির্মম মৃত্যু নিশ্চিত
মৃত্যুই যখন নিয়তি,
ঐশ্বরিক, দৈব চয়ন কিংবা নির্ধারিত।
===============================