========================


মদির আনন্দ, শত রঙ্গা আলো
ধোঁয়াটে অন্ধকার,
তীব্র ঝলকে নগ্ন নারী দেহ ব্যবচ্ছিত হয় বার বার।
সহস্র শকুনি চোখ আকণ্ঠ তৃষ্ণার,
লক লকে লালসা শানিত কৃপাণের ধার।
নিজ সত্তা বিকিয়ে প্রতিটি সময়,
যে নৃত্যে, আনন্দে করে তোলে আনন্দময়
সে এক নারী,
বিবস্ত্র, উন্মোচিত, উন্মুক্ত
ঝলসে যাওয়া আলোর ছোঁবলে ভীষণ স্পষ্ট।
তবুও কি সবটুকু দেখা হয় ?


চেয়ে দেখো,
এই কাজল টানা দুটি চোখ ছল ছল,
ছলনার রং এর আড়ালে সেখানে,
এক ফোটা অশ্রু লুকানো।
সদ্যোজাত শিশু তার, মুষ্টি করে হাত,
সশব্দে, সরবে করছে প্রতিবাদ।
এ পৃথিবীতে তার
খেয়ে পরে বেঁচে থাকার আজন্ম অধিকার।
শাশ্বত এ চিৎকার শুধু ঝরিয়েছে অশ্রু,
ঘুরেছে দ্বারে দ্বারে,
মেলেনি আশ্রয়, মেলেনি কিছু।
সে তো মা, কি সে নারী
পারেনি সমর্পিতে আত্মজা,
তার চেয়ে এই ভালো, হয়েছে স্বৈরিণী।


রাতের শেষ প্রহরে,
সঙ্গে হলে পালা, ভরে উঠে ঢালা
স্মিত হাসিতে মা,
ভাববে,
কি বা এসে যায় তাতে,
এই অর্থে তো কেনা হবে জীবন।
সে জীবনে কি লেপ্‌টে থাকবে,
ভুলন্টিত সম্ভ্রমের এই কালো রং।
ধন্য মা তুমি ।
তুমি অনন্যা, তুমি নারী।
===========================================