==========================


ঐ তো সেই গাছটা,
ঠিক তেমনি আছে,
পত্র পল্লবে হয়তো বেড়েছে শুধু ছায়াটা।
মনে আছে?
এই ছায়াতলেই, প্রথম হয়েছিল কথা
স্বর্ণপ্রভা সে মূর্ছনা, মুগ্ধতা
বিভোর সময়, কখন যে কেটে গেলো
জানি না।


এই তো সেই বেঞ্চিটা,
কতটা সময় সেখানে, কতটা বেলা
কখনো দুজনে,
কখনো অনন্ত অপেক্ষায় একা একা,
গেঁথে গেছি অনর্থক শব্দমালা,
স্বাদ মেটেনি, মন ভরেনি, তবু
শুধু চোখে চোখ রাখা।


আর ওই যে বকুলের তলা,
শুভ্র চাদরের বাহুডোরে,
শান্ত মনোরম নির্মল স্নিগ্ধতা।
বকুলে সাজিয়ে খোঁপা,
পরম সিদ্ধ অঙ্গীকারে,
বাধা পড়েছি দুজনে,
ছন্দে, পর্বে রচেছি,
কতই না জীবনের গীতিকা।


ঐ তো, এখনো তেমনি আছে ডিঙিটা।
জোছনা ভরা আবেগী রাতে, ভেসে ভেসে,
পাশাপাশি আকাশের তারা গোনা।
কিংবা  
রাস্তার পাশের সেই চায়ের দোকানটা,
সাতরঙা চা,
ফুলের ফেরিওয়ালা,
মুগ্ধ হয়ে পাতার বাঁশি শোনা।


এই তো এখানে,
সেই হৃৎপিন্ডটা,
ধুঁক ধুঁক করে চলছে এখনো,
প্রাণ নেই তবু,
থেমে নেই তার পথ চলা।
থেমে থাকে না।


===========================