হঠাৎ হৈ চৈ -
শত কণ্ঠের চিৎকার একসাথে
"চোর" "চোর" "চোর"
কিছু বোঝা দায়।
শুধু চিৎকার টাই শোনা যায়।
সাত সকালে একি গোলযোগ-
দেখতে যাই।
ছোট ছেলেটা বায়না ধর লো
বাবা ! সাথে যাই।
ঘরের সাথে ছোট মাঠেই বিশাল জটলা,
উত্তেজিত জনতা,
চিৎকার হৈ হুল্লোড়  আর ক্রদ্ধ আক্রোশে
কান পাতা দায়।
কারো হাতে লাঠি।
কারো হাতে ভাঙা রড।
কারো হাত যেন ব্যস্ত ঢেঁকি।
কি নির্মম, কি নিষ্ঠুর,
প্রাণ বুঝি যায় যায়।
এতো ক্রোধ, এতো সংহারী আক্রোশ
যেনো যার আছে যত দায়
সব দোষ তার।
থাক ফিরে চলো,
দেখার দরকার নেই।
ছেলেটা গো ধরলো,
না দেখে ফিরবে না কিছুতেই
আনন্দে কি দেখছে সবাই, দেখতে হবে তার।
একসময় সব ক্রোধের অবসান হলো।
তৃপ্ত মানুষের দল ফিরে গেলো।
শুধু মাঠের আবর্জনার স্তূপের  পাশে পড়ে থাকলো
একদল মাংসপিন্ড।
রক্তাক্ত, দলিত, মথিত, নিস্তেজ
" আমি চোর দেখবো বাবা"
বলেই একছুটে সে মাংসপিন্ডের সামনে দাঁড়ালো।
তারপর অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলো।
চোরটা মরেনি
চোরের প্রাণ বড় শক্ত।
চোরটা অস্ফুট কণ্ঠে বললো " পানি খাবো"
ছেলেটা চোখে রাজ্যের অবিশ্বাস নিয়ে
আমার চোখে তাকালো
"চোর কোথায় বাবা"
হাত আছে, পা আছে, আবার কথা ও বলে
মিথ্যে বলেছো তুমি
“এ তো মানুষ”
আমি মুক ও বধির হয়ে গেলাম
আমার হাত থর থর করে কাঁপতে লাগলো
আমার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমতে লাগলো
পরম এ সত্য আমাকে দিবা লোকে নগ্ন করে দিলো
মানুষ কি করে চোর হয় ?
আমরাই কি তাহলে মানুষ কে চর বানাই।


==================