মেঘ করেছিলো বলে
আদরের আপ্যায়নটুকু আর খোসাওঠা আঙুল নিয়ে
হাইড্রেনের হায়েনা হাসিতে
জ্যোৎস্নার ছৈ ছৈ আলপনা
মুছে গিয়ে যখন গুহ্যদ্বার নিকষিত আমিষগন্ধী প্রভাত
কালো পিচ-শ্যাওলা সিমেন্ট
মাংস পচা দোকান আর
মনুমেন্টের মাথায় পরিযায়ীর অবিবাহিত সহগমন
বৃষ্টির সাথে ঝরছিলো
ডেন্ড্রাইটের চিকন সৌরভে
বুঁদ হয়ে ঘুমোচ্ছিলো ভ্রমরের মতো ছেলেটি।
দুপাশে পড়ে পাওয়া চৌদ্দ আনা দিগন্ত আর
ফোর্ডে চড়া কাল রাতের সেই অর্থযোনির প্রাপ্তি
অর্ধউন্মুক্ত পকেটের আস্তাবলে।
কাল ছিলো এমনই মেঘ
লেনিন সরণীর সুস্থতায় দিস্তা দিস্তা ফোঁটা অঝোরে।
বিবাদী বাগ থেকে সেই নীল আলো
বিদেশি পারফিউমের পলিথিন নিয়ে
রাস্তার ছেলেটির ভ্রমর শরীর
শীতাতপ আসনে আশ্লিষ্ট করলো।
আর একটা হলুদ প্যাকেট
কবোষ্ণ কুঞ্চিত হাতে তুলে দিলো।
ভেতরে তার নদীর চরে জন্মানো চোরাবালি
প্রতিদিন দিনের পর দিন
পুরো পৃথিবী মশগুল তার চোরাস্রোতে নিস্তেজে
লেনিন পেরিয়ে রামমোহনের মৌজায়
ভিজতে ভিজতে ছেলেটি চলে গেলো বালির খাদানে
সেখানে পুরো পৃথিবীর ঘুমপাড়ানি বালি
পেট্রোল পুড়িয়ে চলে যায় সৈকতের সিকতায়
স্নায়ুদাহের স্তালিনগ্রাদে
প্রাপ্তির মূল্যটুকুর পর্যাপ্ত হাসিতে
পলিথিনের গন্ধসংশ্লেষে
অহিংস ভাস্কর্যের স্নেহছায়ায়
ঢুলে পড়লো ছেলেটি।
বৃষ্টি ঝরছিলো তবু পাল্লাহীন চশমার ফাঁকে ফাঁকে