নীল ভূবনের কোলে-
এলেম তখন রাত্রি নিশীথে, বিজনে কূজন ঢেলে,
বিহগ এসেছে ফিরে-
ফিরে এল তার শান্তির নীড়ে ;
বিহগী যখন ঘরেওবাইরে চঞ্চল ছায়া মেলে,
ব্যাকুল অপেক্ষায়
বিহগে সোহাগে একাকারে যদি দিগন্ত পাড়াগাঁয়-
হারিয়ে আলিঙ্গনে, দুজনে দুজন  হয়েছে আপন,
দেখেনি কৌতুহলে;
চাঁদ চকোরের চাঁদনি জরিমা সময় ছিল না বলে !


সাগরনীলের নিঃসীম আহ্বান,
মিলনের বাঁশি নাড়া দিয়ে যায় নীলিমার মহাপ্রাণ!
অভিসারিকার জয়;
বারণ না মানা দুরন্ত বেগে নন্দিত বরাভয় :
মধুছন্দার ছন্দে যে তার পদ ঝংকার জরানো,
গতিরাগে ছিল বেহাগের উঁকি বাসন্তী তাই ছড়ানো
রবিরশ্মির কোলাকুলি রঙে রঙিন সাগরনীলিমা,
দিকে দিগন্তে আবাসিক যত জেনেছে প্রেমের মহিমা!


খোলা জানালায় চোখ রেখে যদি রয়েছ প্রতীক্ষায় :
খুঁজেছ ব্যাকুল চরণের ধ্বনি স্পন্দিত আঙ্গিনায়।
হয়ত আমিও এলেম তোমার অপেক্ষা অবশেষে
তরী আনন্দে ভেসে-
আমার যা কিছু সবই জেনো শুধু নীলিমারই অবদান
নীল আলোছায়ে তৃণবীথিকায় হৃদয় দিয়েছি বিছিয়ে
ভূবন ডাঙার ঝর্ণাধারায় নেয়ে উঠে অবিরাম
চিনেছি নিজেকে এসেছি আমিও,
তোমাদেরই কেউ হয়ে-অবারিত কল্যান!


আজ নিশীথের দিগঙ্গনারা দিয়েছে আমাকে ডাক
বসুন্ধরার কন্যাকুমারী বিষ্ময়ে হতবাক :
শুচিস্মিতায় বসবাস তার,
সময়তো নেই সময় দেবার;
তবুও বিবশ আবেশে আকুল স্রোতস্বিনীর ধারে,
ভাসিয়েছে বারেবারে-
সোনার আলোক তরী,
বুঝেছি  আমারই পথের দিশারী
নীলিমার নীল সংকেত তাই হারাইনি অবহেলে
নীলভূবনের কোলে!


গানে গানে তবে ডেকে নিও এই পথহারা পথিকেরে;
কাঙালিনী শুধু ভালবাসা তার জীবনবীনার তারে-
সাগর-নীলিমা মিলন বাঁশরি বেজেছে অনির্বাণঃ
নীল নীলিমার দান!