( সুরা আল গাশিয়াহ্ অবলম্বনে)
( পরম দয়ালু ও অসীম দয়াবান আল্লাহর নামে )


মহাপ্রলয়ের সংবাদ কি তোমার কাছে আনীত
সেদিন অনেকের চেহারা হবে অবনত
কর্মক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত
তারা প্রবিষ্ট হবে আগুনে যা জ্বলন্ত ;
তাদের পান করানো হবে ফুটন্ত নদী হতে
আর কাঁটাবিশিষ্ট গুলমো ছাড়া পাবে না কিছু খেতে
যাতে না থাকবে পুষ্টি , হবে না ক্ষুধা নিবারিত ।
সেদিন অনেকের চেহারায় থাকবে জৌলুশ তো
নিজেদের চেষ্টা সাধনায় সন্তুষ্ট
সুউচ্চ জান্নাতে যাবে
কোন অসার কথা সেথা না শুনবে
সেখানে রবে ঝর্ণা প্রবহমান
আর থাকবে সুউচ্চ আসন
সেথায় প্রস্তুত পানপাত্র
আর তাকিয়া বালিশ মাত্র
আর বিস্তৃত গালিচা ।
তারা কি দেখে না বা ভাবেনা উটের গঠন
আর ঊর্দ্ধে আকাশের স্থাপন
এবং পর্বতরাজি তো
কীভাবে তা বিরাজিত
আর মাটিকে কেমন করা আছে বিস্তৃত
অতএব দাও উপদেশ কারণ তুমি তো
উপদেশদাতা মাত্র
তুমি তো নও শক্তি প্রয়োগকারী
তবে সে ফেরায় মুখ ও করে কুফরী
আল্লাহ দেবেন কঠোর শাস্তি তো
নিশ্চয়ই তারা আমার কাছেই প্রত্যাবর্তিত
হিসাব নিকাশ থাকে আল্লাহর দায়িত্ব ।
( পরিপ্রেক্ষিত ) :- এই সুরার বাচ্যিক অর্থ অনুধাবন করতে বুঝতে হবে ইসলাম প্রচারের প্রথম দিকে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম প্রধানত দুটি কথা লোকদের বোঝাতে চেষ্টা করেন । সেই সময় মানুষ পার্থিব জীবন নিয়ে ব্যতিব্যস্ত ছিল । মক্কাবাসীরা এই দুটি কথা ( আল্লাহর একাত্ববাদ এবং পরকাল ) মেনে নিতে অস্বীকার করে । মানুষ পৃথিবীর উপর যেকোন সময়ে বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে তা কখনো ভাবে না । অতীতেও এমন বিপর্যয় এসেছিল , ভবিষ্যতেও আসবে । বেড়াতে বেরোলে মানুষ দেখে কীভাবে পৃথিবীতে মরুভূমি , পাহাড় দেখে থাকে । তারা এসব জিনিস সম্পর্কে ভাবে না । মাথার উপরে আকাশ নিয়ে তারা ভাবে না । আল্লাহ নবি মারফত অবিশ্বাসীদের বলে , এরা না চাইলে না মানুক , তোমাকে অর্থাৎ নবিকে বলপ্রয়োগ করতে নিষেধ করেছেন । তাঁর কাজ উপদেশ দেওয়া । মানুষকে তো আল্লাহর কাছেই যেতে হবে ।