এপার ওপার যায় না দেখা
মধ্যিখানে মাঠ
মাঠ পেরিয়ে পথ ছাড়িয়ে
মোহনপুরের হাট ।
যাওয়ার পথে কোথায় মেশে
ওদিকের ওই দিগন্ত
তবুও চলেন হনহনিয়ে
বাজিতপুরের মোহন্ত ।
সর্বত্যাগী যোগী বলে
সাধুর ছিল নাম
ক্লান্ত সাধু গাছতলাতে
বসে করেন আরাম ।
এমন সময় একটা পাঁঠা
এগিয়ে আসে ধীরে
সাধুবাবা পাঁঠার দিকে
তাকিয়ে দেখে ফিরে ।
মাথা নীচু করে পাঁঠা
পিছু দিকে হটে
মনে মনে সাধু ভাবে
সম্মান করে বটে ।
এমন ভাবনা সাধুর মনে
উদয় হলো যেই
ক্ষ্যাপা পাঁঠা ছুট্টে এসে
গুঁতিয়ে দিল সেই ।
দর্প ছিল সাধুর মনে
হলো সেটা চূর্ণ
গুঁতোয় গুঁতোয় পাঁঠার আশা
হলো তখন পূর্ণ ।