যেদিন থেকে আমার কপালে সিঁদুর , হাতে পলা শাঁখা
সেদিন থেকে অনেক নিশ্চিন্তে পথ চলি
ভয়াবহ সেসব দিনের কথা ভেবে এখনো আঁতকে উঠি
কত টোন কত শিস্ কত অশ্রাব্য মন্তব্য শুনতে শুনতে
হনহনিয়ে চলে গিয়ে কোন দোকানে , লোকালয়ে
বেঁচেছি হায়েনার কবল থেকে । আমরা কত অনিরাপদ
উষ্ণ নিশ্বাস কানের কাছে , ছুঁয়ে যাওয়া , ইচ্ছাকৃত ঠোক্কর ,
জঘন্য প্রস্তাব , কটু মন্তব্য সহ্য করেছি ;
আজ যখন এয়োতির চিহ্নসমূহ নিয়ে একা বেরোই
তখন অনেকটা নিশ্চিন্তে হাঁটি । এখন মনে হয়
এসব দাসত্বের লক্ষণ নয় , সুরক্ষা কবচ
শিশুর কপালে কালোটিপের মতো
যাতে নজর না লাগে কিংবা ভূতপ্রেত থেকে বাঁচার মাদুলি এই শাঁখা সিঁদুর পলা নোয়া ;
রকবাজ ছেলে , পার্কের আড্ডাবাজ , যুবক
আধবুড়ো কেউ বাদ দেয় না , ছুঁয়ে যাওয়ার চেষ্টা ,
দুঃস্বপ্নের মতো সেই স্মৃতি মনে পড়লে শিউরে উঠি
যেদিন তাড়া খেতে খেতে আমি এক পুলিশের গাড়ি দেখে সামনে দাঁড়িয়ে পড়ি ;
আজ ভাবি এয়োতির এসব চিহ্ন কেবল সংস্কার নয়
নারীর সুরক্ষাকবচ , মর্যাদার হাতিয়ার ।