বড়দা লেখাপড়া শেষে ইউএসএ চাকরি পেয়ে গেল
বাবামায়ের মুখে ছিল সাফল্যের আনন্দ
তারপর দিদিটা সায়েন্টিস্ট হয়ে ইজরায়েল
সরকারের বৃত্তি পেয়ে সেখানেই সেটলড্
বাবা ছিল কৃতিত্বের দাবিদার
নিজে সায়েন্টিস্ট বলে
আমাকে নিয়েই মাকে যত কথা শুনতে হতো
আমি তো ছোট , মায়ের আদরে হয়েছি বাঁদর
এসব হচ্ছে বাবার অভিযোগ
বড়দা বা দিদির মতো অতটা ব্রিলিয়ান্ট না হলেও
একেবারে বয়ে যাওয়া ছাত্র ছিলাম না
তাই ওদের মতো বিজ্ঞানের পথ সুকৌশলে এড়িয়ে
বাংলা ভালোবেসে এগিয়ে গিয়েছি সাধ্যমতো
জীবন চলার মতো একটা চাকরিও জুটেছে
বাবামায়ের কাছেই থাকি
বেশ কয়েক বছর পর মায়ের ইচ্ছাতেই বিয়ে
একটা মেয়ে -- দাদু দিদার কাছে বাড়ছে
মুখে কথার খৈ ফুটছে ।
অফিস বাজার স্ত্রী সন্তান বাবা মা নিয়ে দিন কাটে
ব্যক্তিগত সুখ সাচ্ছন্দের অবকাশ নেই
বৃদ্ধ বাবা মাকে ফেলে কোন ছুটিতে বেড়াতেও পারিনা
জগদ্দল পাথরের মতো বসে আছি
বৃদ্ধ বাবা মাকে রেখে কোথাও যাওয়ার অবকাশ নেই।