রাস্তাটা ছিল মন্দিরে যাওয়ার
মন্দির ছাড়িয়ে কুস্তির এক আখড়া
আখড়ায় চলে কুস্তি ও লাঠিখেলা
মন্দিরে যাওয়ার পথে দোকানপসারি
ভক্তদের আনাগোনা । দুদিকে গাছের সারি
শালিক চড়ুই পাখির কিচিরমিচির
হাঁড়িচাচার কর্কশ চেল্লানি
আর হাতে ঠোঙা দেখলেই বানরের উৎপাত
মাঝে ফুলের ডালি আর তরে তরে সাজানো
বাতাসা নারকেল সন্দেশের নাড়ু
আর ছিল এক চাঅলা
জায়গাটা ছিল জমজমাট , দিনে রাতে বেচাকেনা
রাতেও দোকানের ঝাঁপ বন্ধ হতো না
সবাই মিলে চাঅলাকে করেছিল চৌকিদার
রাতে লাঠিহাতে বাঁশি বাজিয়ে ঘুরে বেড়ায়
মাথায় বাঁধা পাগড়ি , গোল্লা গোল্লা চোখ
আর হেঁকে হেঁকে  বলে , সাবধান !
সবাই ভেবেছিল নিশ্ছিদ্র প্রহরা
তবুও একদিন দোকানের দামি দামি সামগ্রী
এক দমকা ঝড়ে উড়ে গিয়ে
কোন্ সে অজানা দেশে হাওয়া !
দোকানদারের হৈ হৈ রবে
আখড়া থেকে একদল বেরিয়ে আসে
দাঁড়ায় চৌকিদারের পাশে ।