( পবিত্র কুরআনের আল ইনফিতার অবলম্বনে )


( শুরু আল্লাহর নামে যিনি পরম দয়াবান এবং করুণাময় )
যখন আকাশ হবে বিদীর্ণ
তারাগুলো পড়বে খসে হয়ে শীর্ণ
সমুদ্র হবে উত্তোলিত
কবরবাসী হবে উত্থিত
আগের পাঠানো সকল কৃত
পশ্চাতে ফেলেরাখা কৃত হবে অবগত ;
হে মানব , তোমার প্রভু কি দিয়েছে ধোঁকা
যিনি তোমাকে করে সৃজন করেছেন সুষম
আর যথাযথ সুসমঞ্জস
তোমার এই চেহারা হয়েছে ইচ্ছায় তাঁর
তবে কেন কর বিচারদিবসকে অস্বীকার
তোমাদের উপর নিশ্চিত আছে সংরক্ষকগণ
তারাই লিখিত রাখে সর্বক্ষণ
তাদের নজরে তোমাদের কাজ
নিশ্চয়ই সৎকর্মপরায়ণ সুখ স্বাচ্ছন্দে আজ
অসৎ কর্মে যারা ছিল নিয়োজিত
হবে আগুনে প্রজ্বলিত
সেখানে যাবে প্রতিদান দিবসে
না পারবে থাকতে অনুপস্থিত
তোমরা বুঝবে কিভাবে সেই প্রতিদান দিবস কী
আবার বলি কিভাবে জানবে সেই প্রতিদান দিবস কী
যেদিন হারাবে মানুষ সকল ক্ষমতা
আল্লাহই রাখেন সকল কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা ।
( পরিপ্রেক্ষিত : পবিত্র কুরআনের ৮২ সংখ্যক সুরায় প্রথমে সতর্ক করা হয়েছে যে মহাপ্রলয় আসবেই । আমাদের এই অবয়ব আল্লাহর ইচ্ছায় । মানুষ যা যা করে ভালো কিংবা মন্দ লক্ষ্য করার জন্য ফেরেশতা নিয়োজিত আছে । বিচারদিবসের দিন মানুষ কোনমতে তা অস্বীকার করতে পারবে না । )