( এক )
গুরু বৃহস্পতির পত্নী তারাদেবী
একদা একাকী বিচরণে কাননে
বৃহস্পতির শিষ্য চন্দ্র ছিল তারার
রূপে মুগ্ধ , দর্পণসম তারার আননে।
বিস্মৃত হয়ে চন্দ্র গুরুপত্নী মাতার সম
কদাচার করেন তিনি একা পেয়ে নির্জনে
গুরু একথা জেনে অভিশাপ দিলেন মনে ।
              ( দুই )
চন্দ্র ছিলেন অত্রি মুনির পুত্র ,
সাতাশ তারার স্বামী
দক্ষ নামে লোকের এই সাতাশ কন্যা
জানেন অন্তর্যামি ।
সাতাশ বৌয়ের একজন ছিল রোহিণী
ছিল চন্দ্রের ছিল টান
এই অভিযোগ নিয়ে ছাব্বিশ কন্যা
দক্ষের কাছে যান ।
ক্রুদ্ধ পিতা রুষ্ট হয়ে জামাতাকে দিলেন
চরম শাপের আঘাত
হে বিধাতা , চন্দ্র যেন ত্বরায় হয় না কেন
সারা দেহে পক্ষাঘাত ।
ছাব্বিশ কন্যা হাত জুড়িয়া পিতার কাছে
করজোড়ে আবেদন
এই অভিশাপ তুলে নিয়ে লঘু কোন
শাস্তির করে নিবেদন ।
তখন পিতা দক্ষ মুনির মনটি নরম হয়ে
প্রত্যাহারি সম্পাত
জামাতা চন্দ্র যেন দুটি পক্ষ নিয়ে
হয় কালাতিপাত ।
কৃষ্ণপক্ষে হবে ক্ষয় আর শুক্লপক্ষে
ধীরে ধীরে বৃদ্ধি
এতেই পাবে শাস্তি , বাবা শ্রীমান চন্দ্রের
বর্দ্ধিত হয় ঋদ্ধি ।