হজরত আলি দরদি আমিরুল মুমিনিন
হেরিলেন এক বালিকা কাঁদিছে সেদিন
নির্জন দুপুরে মরুবালুকার উপর বসি
কৌতূহলে জিজ্ঞাসিলেন কাছে আসি,
বলো বাছা কাঁদিছ কেন এই নির্জন প্রান্তরে
তপ্ত দুপুরে বালুকারাশিতে বসিয়া উপরে !
মেয়েটি বলিল সজল নয়নে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে
মনিবের স্ত্রী বলিছে খেজুর আনিতে পালটিয়ে ।
হজরত তার মাথায় বুলায় হাত , দরদভরা সুর
চলো বাছা আমার সঙ্গে তুমি পালটাবে খর্জুর !
অসম দুই বয়সী চলে তখন খেজুরের দোকানে
রুষ্ট দোকানী কহে , বিক্রিত কিছু পাল্টাই না এখানে ।
সহসা পিছু শুনিলেন ডাক , সালাম হে আমিরুল !
দেখিতে দেখিতে ভীড় জমে যায় , ঠাঁই নাহি একচুল ।
আমিরুল ডাক শুনিয়া দোকানীর টনক নড়িল
চাহিয়া ক্ষমা জোড়হাতে তখনই খেজুর পালটিল ।