গ্যাংটকে দাঁড়িয়ে মনে হয় কত উঁচুতে আছি
কলকাতা আমাদের পদতলে
আবার যখন কাঞ্চনজঙ্ঘার দিকে চোখ পড়ে
মনে হয় আমরা তো আকাশ ছুঁতে পারিনি
এই মুহূর্তে এক খাদের ধারে দাঁড়িয়ে
নিজেকে কত অসহায় মনে হয়
ভীড়করা জনতার মধ্যে দাঁড়িয়ে বুকের ভিতর
মোচড় দিয়ে ওঠে , এই জনতা চিরকাল থাকবে
আমি অপসৃয়মান ছায়ার মতো মিলিয়ে যাব অতল খাদে
যেমন লোক দেখে ত্রস্তপদে খরগোশশাবক
বিবরে প্রবেশ করে ; এর চেয়ে আমি যদি
থর মরুভূমির ধু ধু প্রান্তরে হেঁটে বেড়াতাম
তবে হয়তো যখন ক্লান্ত হয়ে পড়তাম
আর অদূরের কোন মরূদ্যান চোখে পড়তো
তবে আরো কিছুদূর এগিয়ে যেতাম
আর আজ এমন কিনারে এসে পৌঁছেছি
এখানে নড়াচড়া করতেও ভয়
এ তো পর্জন্য মেঘ নয় যে বর্ষণের পর
আবার নীল আকাশ দেখা যাবে
বিকেল থেকে সকালে ফেরা যায় না
নতুন সকাল আসে সেও তো না দেখতে পারি ।