মানালি সিমলা কল্পা সাঙলা হয়ে এলাম সারাহানে
দ্রোপদীর দেশে  কিন্নরসুন্দরীর সমাবেশে ,
তুষারমণ্ডিত শৃঙ্গ চারিদিকে
হিমেল ছোঁয়ায় বক্ষে আমার হাত , পুলকিত দেহমন
চলেছি সোনালী আপেল বাগিচার ছায়াঢাকা পথে
বিকেলের অন্তিম অস্তরাগের আভা আপেলের 'পরে
সুঢৌল স্তনে , উদ্ভাসিত জঙ্ঘায় , ক্ষীণকটী কাণ্ডে
চেয়ে আছি অনিমেষ , সোনালী পাহাড়ির নীচে
একফালি কালোমেঘ মাথার উপর ঘনীভূত ; বুশাহার
রাজাদের পদম রাজমহল থেকে এক কিন্নরীকন্যা
মাথায় তার কিন্নরীটুপি , সবুজ ওড়না গায়ে , নীলটিপ
হাতে তার ফুলের ডালি পাকদণ্ডী পথ ধরে ভীমকালী
মন্দিরের দিকে ক্রমশঃ অগ্রসরমান । আচমকা
মেঘভাঙা হড়পা বানে আমি ভেসে চলি যেমন
এসেছিলাম সিমলা থেকে একশো বিরাশি কিলোমিটার
পথ ঠিক তেমনিভাবে আমি গড়িয়ে চলেছি ;
তার অভিঘাতে চূর্ণবিচূর্ণ আমার পাষাণহৃদয় ;
আমার বাঁচার আশা ক্ষীণ , হয়তো টুকরো টুকরো হয়ে
রয়ে যাব সারাহানের বুকে কিন্নরনারীর স্মৃতি নিয়ে ।