ফরাসীদের অদ্ভুত দাবি : ব্রিটেন তাদের ,
ডাচদের দাবি আরো বিস্ময়কর :
ফ্রান্স তাদের পূর্বপুরুষের ,অতএব পুনর্দখল
ইংল্যান্ড বলছে ভারত তাদের
তারাই এদেশ দুশো বছর করেছে শাসন ।
চেকোস্লোভাকিয়ার স্লোভাকদের দাবি তারা ভিন্ন
বৈঠকের পর বৈঠক , শান্তিচুক্তি
সবাই একটা বিষয়ে সহমত --
ইহুদিদের উস্কানিতে এসব হচ্ছে
আদিমকাল থেকে খ্রিষ্টান ইহুদি দ্বন্দ্ব
সুতরাং তাদের ইউরোপ থেকে উৎখাত করে
নতুন স্বদেশ গড়ে দেওয়া হোক ইহুদিদের
নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নিয়ে বেঁচে থাক
মারামারি কাটাকাটির অবসান হোক ইউরোপে
ওদের নিজস্ব ভূখণ্ড দেওয়া দরকার
কিন্তু কোথায় হবে সেই ভূমিখণ্ড ?
পৃথিবীর স্বঘোষিত সর্দারের প্রস্তাব :
রুক্ষ্ম অনুর্বর এক ভূমিখণ্ড
একমাত্র আরবের পশ্চিমে আছে
ইজরায়েল নামে অবৈধ এক রাষ্ট্রের জন্ম ,
আমেরিকা ইউরোপ সঙ্গে সঙ্গে স্বীকৃতি দিল
মুসলিম বিশ্ব সহ ভারত দেয়নি স্বীকৃতি
বহুদিন পূর্বে আমাদের দেশের পাসপোর্টে লেখাই থাকতো
"ইজরায়েল বাদে সমগ্র বিশ্ব" ।
তারপরের ইতিহাস গেল বদলে
যারাই করেছিল বিতাড়িত তারাই দিল মদত
অস্ত্রবলে দেশের সীমানা বৃদ্ধি ;
সম্মিলিত আরব দেশ একসঙ্গে লড়াই করেও
কিছুই করতে পারেনি
বরং সিনাই উপদ্বীপ সহ বিস্তীর্ন এলাকা
ইজরায়েলের হানাদারি বাহিনী দখল করে ;
ইজরায়েলের আগ্রাসন বাড়তেই থাকে
যতদিন ইয়াসির আরাফাত ছিলেন
ততদিন একটা রফা হয়েছিল
ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ;
তারপর মার খেতে খেতে যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেল
তখনই হামাস এবং আরো কয়েকটি সংগঠন তৈরি হলো ;
এরা সন্ত্রাসী , এদের কেউ ইজরায়েলে
একটা রকেট ছুড়লে
ইজরায়েলের সহস্র রকেটে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের
জীবনদীপ নির্বাপিত
শিশু নারী বৃদ্ধের , হাসপাতালের রোগীর
হামাসদের তারা খুঁজে পায় না
এখন গাজা এক গোরস্থান
চারিদিকে পচাগলা লাস
আমেরিকা ইউরোপের সাধারণ শান্তিপ্রিয় জনসাধারণ
এই গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
সমাবেশ এমনকি খোদ ইজরায়েলের সাধারণ জনগণ এই হলোকাস্টের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে ;
তবুও ভ্রূক্ষেপ নেই হানাদারি বাহিনীর ।