(পবিত্র কুরআনের আন নাবা সুরার ভাবানুবাদ)


লোকেরা জিজ্ঞাসে কোন বিষয় নিয়ে
(মহাপ্রলয়) সেই ঘটনা বিষয়ে
তাদের আছে যদিও মতভেদ প্রচুর
(কখনও না তাদের মিথ্যা ধারণা) শীঘ্র হবে দূর
তারা জানবে তাদের ধারণা অলীক যা
মানুষের জন্য মাটিকে করিনি কি শয্যা
আর পর্বতসমূহ দিইনি সেঁটে
নরনারীকে কি বানাইনি জোটে
নিদ্রাকে করেছি বিশ্রাম , প্রসন্ন হয় মন
রজনী তোমাদের আচ্ছাদন
এবং দিবসে নিয়োজিত উপার্জন আয়ে
তোমাদের ঊর্ধ্বে সাতটি আকাশ দিয়েছি বিছায়ে
সৃজেছি উজ্জ্বল আলোকমালা
দিয়েছি বৃষ্টিবাহী মেঘমালা
বৃষ্টির জলে ফলাই শস্য গড়ি উদ্যান এবং উদ্ভিদ
ফুঁক দেওয়া হলে তোমরা হবে দলেদলে উপস্থিত
দ্বার হবে বহু খুলে দেবো আসমান
মরীচিকাসম পাহাড় সব হবে চলমান
অপেক্ষমান রবে নরক
সীমালংঘনকারীদের হবে দুর্ভোগ
সেখানেই আশ্রয় অনন্তকাল
না পাবে পানীয় জলের খোঁজ
কেবল ফুটন্ত পানি কিংবা পুঁজ
এটাই তাদের প্রতিফল নয় কি
তারা কোন প্রত্যাশা করতো কি
বরং করেছিল পুরোপুরি অস্বীকার
সংরক্ষিত করেছি সব হিসাব তার
অতএব দুর্ভোগ শাস্তির যা ক্রমশঃ বর্ধমান
আর সুকৃতীর জন্য আছে পুরস্কারের বিধান
বাগিচায় সুস্বাদু আঙ্গুরই
আর সমবয়সী কুমারী সুন্দরী
এবং ভরা পানপেয়ালা
শুনবে না কোন অসার অলীক বচনের কথামালা
তাদের প্রতিপালকের তরফে এই পুরস্কার
আকাশ , পৃথিবী ও তার মাঝের সবকিছুই অধিকারে যার
অতি দয়াবান , সাহস হবে না কারো কথা বলার
সেদিন রূহ আর ফেরেশতারা দাঁড়াবে এক সারিতে
আল্লাহর অনুমতি ছাড়া পারবে না মুখ খুলতে
সুনিশ্চিত এই দিন একেবারে সত্য
সুতরাং যার ইচ্ছা লভুক আল্লাহর নৈকট্য
আসন্ন শাস্তি সম্পর্কে করলাম অবহিত
সেদিন মানুষ দেখবে তাদের আগেই পাঠানো হাতদুটি
বলবে অবিশ্বাসী , হায় ! আমি যদি হতাম মাটি ।


( এই সুরায় কেয়ামত , শেষ বিচারের দিন এবং বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের ভিন্ন ভিন্ন পুরস্কার ও শাস্তি সম্পর্কে অবগত করানো )