বাইরে থেকে মলাট দেখে
যায় না করা বিচার
পয়লা দেখে চিন্তাছাড়া সিদ্ধান্ত হবে ভুল

জলে ডোবাও সোজা লাঠি সোজাভাবে
লাগবে বাঁকা সোজালাঠি জলের ভিতর
তুললে টেনে জলের উপর দেখবে সোজা


পারস্যের হাতেফি নামকরা এক কবি ছিলেন
দেশের সম্মান তাঁর কবিতায় এনে দিলেন ;
স্বয়ং রাজা তাঁর কবিতায় গুণে মোহিত ;
খোরাসান বিজয় করে শাহ ইসমাইল
সসৈন্যে ফেরেন দেশে বিজয় উল্লাসে
ফেরার পথ ছিল শাহের কবির বাড়ির পাশ দিয়ে
পাঁচিলে ঘেরা বাড়ি কবির অনেকখানি বড়
ইসমাইলের ইচ্ছা ছিল কবির দেখা পাওয়া
ধৈর্যহারা তিনি তখন পাঁচিলের গেট যাওয়া
ঝুলে থাকা পাঁচিল 'পরে
গাছের ডালটি ধরে
লাফিয়ে পড়েন বাড়ির ভিতর
ভীষণ ব্যাকুল তিনি
মুচকি হেসে স্বয়ং কবি গেলেন এগিয়ে
নিজের হাতটি শাহের দিকে দিলেন বাড়িয়ে
বাহ্যিক বিচারে তিনি না ভেবে তস্কর
বাঁধিলেন তাঁকে কবি দিয়ে বাহুডোর ।

একদা এক সাধুবাবা দুপুরের রোদ্দুরে
দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ , চলেন বহু দূরে
হঠাৎ হেরিলেন মস্ত এক পাঁঠা
দাঁড়ায় নতমস্তকে সাধুকে দেখে ;
সাধু ভাবে , আমাকে করে সম্মান
তাই করে মাথা হেঁট
আর ঠিক তখনই পাঁঠা এসে ছুটে
সজোরে গুঁতিয়ে করে ভূলুণ্ঠিত ।