লোকমুখে বহুবার শুনেছে  কাবুলদা
ইরানের মেয়েরা শিশু হোক বা নারী
গুণবতী নয় বটে কিন্তু তারা সবাই
ডানাকাটা পরী কিংবা স্বর্গীয় হুরি ।
সেই থেকে স্বপ্নটা মনেমনে গড়েছে
কাবুলদার মেয়ে হলে নাম দেবে ইরানী
রূপসী বিদুষী গুণবতী হবে মনেপ্রাণে
দেশে দেশে আলোড়নে তুলবে তুফানই ।


ইজরায়েল চাকরিতে চলে গেলো জাপানে
কর্মের অবসরে ভোলোবাসে সাকুরাকে
মেয়েটি কাজপাগল যেন জাপানি পুতুল,
পুতুলের প্রাণ আছে মন সঁপে দিল তাকে ।
দিনে দিনে অবশেষে কয়েক বৎসর পরে
দুজনের মাঝে এলো টুকটুকে ছেলেসন্তান
নড়েচড়ে হাসেকাঁদে ছোট ছোট চোখে চায়
জাপানে হয়েছে বলে জাপান রেখেছে নাম ।


সেদিনের সেই ইরানী আজ সোমত্ত সেয়ানা
বিয়ের পাত্র খুঁজে খুঁজে তার মাবাবা হয়রান
এই দিকে দেশে ফিরে এলো সুপুরুষ জাপানও
তার বিবাহের উপযোগী সুন্দরী পাত্রীর সন্ধান ।
দেখাশোনা চেনাজানা ক্রমশঃ আলাপে তাদের
বাড়ে গলাগলি , চলে কানাকানি দুজনের নিয়ে
যত মেশামিশি ভালোবাসাবাসি কাছে আসাআসি
পরিণতি অবশেষে যখনই হলো তাদের বিয়ে ।


দেখতে আপেল আসলে মাকাল এমনই অকর্মণ্য
কাজ নেই তাই খায়দায় ঘুমিয়ে কাটায় জাপান
রিরি গা জ্বলে দেখেশুনে পতিদেবের ব্যবহার
ইরানীর মনে হয় স্বামী নয় তো সে যেন মেহমান।
জাপানও মনে ভাবে কপালে এই তার ইরানী বৌ
জন্মের সময়ে দেয়নি তার মুখে মধু , তাই ঝরে বিষ
রেগে গেলে ইরানী চোখে মুখে আগুনের ঝলকানি
তাকে নিয়ে সারা জীবন ঘরকরা জ্বলবে অহর্নিশ ।