( পবিত্র কুরআনের আল বুরুজ সুরা অবলম্বনে )
((পরম করুনাময় আল্লাহর নামে আরম্ভ যিনি বড় মেহেরবান )


শপথ গ্রহ নক্ষত্র শোভিত আসমানের
প্রতিশ্রুতি দিয়েছি যে দিনের
আর যে দেখে ও যা দেখে তার কসম
ধ্বংস হয়েছে বিবর কারী
দাউ দাউ করে জ্বলা আগুনে তারই
যখন তারা বিবরের কিনারায় উপবিষ্ট
মুমিনদের সাথে কৃত কর্মে হয়েছিল আবিষ্ট
মুমিনদের উপর নির্যাতনের দেখিয়েছিল কারণ
মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর প্রতি এনেছিল ইমান ।
নভোমন্ডল ও জমিনে রাজত্ব যাঁর
প্রতিটি বিষয় নখদর্পণে তাঁর ;
যারা করে নির্যাতন মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীর উপর এবং করেনি অনুতাপ
তাদের জন্য নিশ্চিত আছে জাহান্নামের অসহ্য তাপ
আর যারা করে সৎকাজ এবং অন্তরে করে বিশ্বাস আল্লাহর বিধানে
তাদের অবস্থান জান্নাতের বাগানে
যার নিম্নদেশে ঝর্ণাধারা ; এতেই সাফল্যের দিন
তোমার প্রতিপালকের শাস্তি বড়ই কঠিন
যিনিই সৃষ্টি করেন , তারপর করেন আবর্তন
তিনিই ক্ষমাশীল, প্রেমময় , আরশের অধিপতি আছে মহা সম্মান
অতএব তাই করেন যেটা তিনি চান।
তোমার কাছে কি সংবাদ আছে সৈন্যদের
ফিরাউন ও সামুদের ?
তবু অবিশ্বাসীরা করে প্রত্যাখ্যান
(জানে না) আল্লাহ্ ঘিরে রাখেন অন্তরালে
( তাতে কোন ক্ষতি হবে না ) কুরআনের কোনকালে
কারণ সুরক্ষিত আছে কুরআনের বাণী।
(প্রসঙ্গতঃ : বুরুজ শব্দটি বুর্জ্-এর বহুবচন । বুর্জ্ শব্দের অর্থ  দুর্গ বা মনজিল । এখানে মনজিলগুলি । সূর্য এক বছরে প্রদক্ষিণ করে বারোটি মনজিল বা দুর্গ । মূল বিষয়বস্তু বিশ্বাসীদের উপর অবিশ্বাসীদের নিপীড়ন  ছিল অমানবিক । অবিশ্বাসীদের সঙ্গে সঙ্গত দিয়েছিল মুশরিক অর্থাৎ মৌখিকভাবে ইসলামে বিশ্বাসী  । তারা মিলিতভাবে বিশ্বাসীদের আগুনে ভরা গর্তে ফেলে পুড়িয়ে মেরেছিল । তথাপি বিশ্বাসীরা দুর্বিষহ মৃত্যুবরণ করেও ইসলাম ত্যাগ করেনি । আলোচ্য সুরায় বিশ্বাসীদের পুরস্কার এবং অত্যাচারীদের শাস্তির কথা বলা হয়েছে । )