নির্বাচনের যুদ্ধশেষে বীর সৈন্যদের বাড়িফেরার আনন্দ
বিরোধী শিবির পর্যুদস্ত , নাকাল
চারিদিকে শান্তিপতাকা পত পত করে উড়ছে
বোঝার উপায় নেই যেগুলো ছিল রণাঙ্গন
সেখানে এখন ঘটঘুটে আঁধার , ঝিঁঝিঁ পোকা ডাকছে ;
ঘনান্ধকারে রক্তের দাগ দেখা যায় না
গুটিকয়েক কুকুর চেটেপুটে খাওয়া সত্ত্বেও
কেমন একটা আঁশটে আঁশটে গন্ধ ;
বীর মইদুল সইদুলের পাঁজরা ভেঙে দিয়েছে
সে এখন জেলা হাসপাতালের ১০৮নং বেডে ।
সওগাত আর সৌগতের দাপুটে বাহিনী
পুরো দুলেপাড়া শেখপাড়া ঘিরে রেখেছে ,
কাউকেই বেরতে দেয়নি ;
বোমায় আছিরুদ্দিনের একটা হাত উড়ে গেছে
তবুও তার মুখে বিজয়ের হাসি
সে একা দুজনকে যমের বাড়ি পাঠাতে পেরেছে ;
লড়াকু সেনাদের পার্টি অফিসে অভ্যর্থনা
আহতদের মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে
কেবল আসাদ মোল্লাকে পিজির স্পেশাল কেবিনে
মেডিকেল বোর্ড বসিয়েছে তার জন্য ।
কয়েকজন পোলিং অফিসারের , নির্বাচনী এজেণ্টের
কপাল মন্দ , মাধব দাশগুপ্তের স্ত্রী মৃত স্বামীর শোকে
কান্নায় ভেঙে পড়েছে ; প্রিজাইডিং অফিসার রবিউল
কথা বলতে পারছে না , তাঁর চোখে মুখে আতঙ্ক ।
নির্বচনী যুদ্ধের আসল মজা তো
ফলাফল বেরনোর পর
সেদিন শিবিরে শিবিরে বাজবে বিজয়-রণ-তূর্য ;
ভোটের দিনের সংখ্যা ছাড়াতে পারবে
এই আশঙ্কায় প্রহর কাটে জনগণের ।