দেশটাই যখন করোনার সূতিকাগৃহ  
তখন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের কিছু ধুরন্ধর
পাকা-মাথা দেশে নির্বাচনের তাগিদে
দেশনেতাদের অসংখ্য রেলি , মিটিং , মিছিল , সমাবেশ
আর লক্ষ লক্ষ জমায়েতের আয়োজন
কোথাও এক হাজার টাকার কুপন
কেউ বা মাথাপিছু আঠারো হাজারের প্রতিশ্রুতি !
কয়েক বছর আগের দেওয়া পনের লক্ষ যখন
এখনো খরচ করতে পারেনি তখন আবার !
আজ হুঙ্কার মাস্ক পরোনি কেন ?
তার আগে ভাবে না এই প্রখর রৌদ্রে দুপুরে
ব্রিগেডের  সাত লক্ষ লোকের সমাবেশের গর্ব
যেদেশে অক্সিজেনের জন্য বিদেশের কাছে
বিশেষতঃ মরুভূমির দেশের কাছে হাত পাততে হয়
সেখানে ইলেকশনের আগে না  অক্সিজেন আগে ?
জনগণের নিরাপত্তা না নির্বাচন আগে ?
রাষ্ট্রনেতাদের জনসমাবেশে বিস্ফোরক মন্তব্য
অথচ হাসপাতালে হাসপাতালে বেড নেই
ডাক্তার নার্সদের নিজেদের নিরাপত্তাও নেই
অগণিত হাহাকার বাড়িতে , হাসপাতালে
এই মর্মান্তিক অবস্থায় এক রাজ্যেই আট দফায় নির্বাচন
যা একান্ত প্রয়োজনে একদিনেই যথেষ্ট ছিল
আজ আর তালিবাজানো নেই , ঘণ্টাধ্বনি নেই
এখন ক্রন্দনধ্বনি মানুষের সম্বল
তবুও ডানপন্থী অতি ডানপন্থী বামপন্থীর
কোন হেলদোল নেই , নির্বাচন বয়কটের ডাক নেই
বরং ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে সবাই সামিল ।
কোটি কোটি টাকা নির্বাচনের পিছনে না ঢেলে
জনগণের মৌলিক চাহিদা মেটালে আজ
এই দুরবস্থায় অথৈ সাগরে হাবুডুবু খেতে হতো না ।