শহুরে জীবনে অভ্যস্ত কীসের টানে
দূরে পল্লীবাংলার কোলে শরতের এক সকালে
নির্জন মাঠের ধারে গ্রামের এক বধূর টানে ছুটে যাই
টানা টানা সবুজ চোখে আমার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে যেন কোন আকর্ষণে ;
বসে পড়ি আলের পরে গুঁড়ি মেরে
তার সুডৌল চেহারার রূপে কী জাদু আছে
উন্নত ঢেউখেলানো বুক , পরিষ্কার পা দুটি
আহ্বানের ভঙ্গীতে দুবাহু মেলা
শরীরের এদিক থেকে ওদিক আমি চেয়ে দেখি
আমার দিকে যেন কামনার আগুনমেলা দৃষ্টি
নিজেকে করেছে যেন স্বর্গের অপ্সরী
আমি টানটান হয়ে শুয়ে পড়ি
আশ্বিনের নবান্নের ঘ্রাণ তার বুকে
আমি শুষে নিঃশেষ করি নিমেষে
মৌসুমী ফসলের সুবাস আর শ্যামল কেশের
সুরভিত ঘ্রাণ নিয়ে আর মিষ্টি প্রেমের ভালোবাসা
বুকে নিয়ে ঘরে ফিরি ।