( পবিত্র কুরআনের ৮৩ সংখ্যক সুরা আত মুতাফফিফিন অবলম্বনে )
(পরম করুনাময় আল্লাহর নামে যিনি রহিম ও রহমান)
ধ্বংস যারা পরিমাপে দেয় কম ওজন
অথচ লোকদের কাছে নেওয়ার সময় চায় পূর্ণ ওজন
আর নিজেরা দেয় ওজনে কম যখন দেবে
তারা কি করে না বিশ্বাস তখন পুনরুত্থিত হবে
এক মহা দিবসে ?
যেদিন দাঁড়াবে উপাস্যের সমুখে
কখনোই নয় নিশ্চয়ই পাপিষ্ঠের কৃতি সংরক্ষিত সিজ্জিনে
সিজ্জিন কী জানতে চাও মনে
লিখিত হিসাব তাদেরই
সেদিন অনিবার্য হবে ধ্বংস অস্বীকারকারী
প্রতিদান দিবসে অস্বীকারের পুরস্কার তারই
কেবল পাপাচারী সীমালঙ্ঘনকারী করে অস্বীকার
যখন লোকে পাঠ করে বাণী আমার
তখন তারা বলে 'এ পূর্ববর্তীদের ঘটন '
কখনো নয়  বরঞ্চ যা করেছে তারা অর্জন
তাদের অন্তঃকরণ করে আচ্ছাদন
কখনো নয় , সেদিন তাদের রব হতে থাকবে দূরে
তারা প্রবিষ্ট হবে জাহান্নামের আগুনের ভিতরে;
তাদের হবে জানানো এটা সেই যা করতে অস্বীকার
আর সৎকর্মকারীদের হিসাব ইল্লিয়িনে
কিসে জানবে ইল্লিয়িন কী
এটাও লিখিত হিসাব
নৈকট্যপ্রাপ্তরাই করে লাভ
তারা থাকবে সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যে
আর সজ্জিত আসনে বসে তারা দেখবে
তাদের চেহারায় ভরা লাবণ্য
শুদ্ধতম পানীয় করানো হবে পান
মৃগনাভীর সুগন্ধে ভরা
প্রতিযোগিতাকারীদের করা উচিত প্রতিযোগিতা
আর মিশ্রিত থাকবে তাসনিম
তা এক প্রস্রবনের পানীয়
যা পান করবে নৈকট্যপ্রাপ্তরা
নিশ্চয়ই পাপীরা হাসাহাসি করতো
যারা দুনিয়ায় নামাজিদের উপহাস করতো
তাদের পাশ দিয়ে যখন যেতো
তারা চোখ টিপে বিদ্রূপ করতো
আর যখন ফিরতো পরিবার পরিজনের ভিতরে
তারা তারা উৎফুল্ল ছিল অন্তরে
আর সৎ পথে চলা লোক দেখে বলতো এরা
' এরা ছিল পথভ্রষ্ট '
অথচ তারা ছিল না সজ্জনের হেফাজতকারী
আর একজন সজ্জনরাই হাসবে এদের দেখে
সমুন্নত আসনে বসে তারা দেখতে থাকবে ।
অবিশ্বাসীদের তাদের কৃতকর্মের প্রতিদান দেয়া হলো তো ?
(প্রসঙ্গ :-  হযরত ইবনে আব্বাস ( আল্লাহ্ তাঁর প্রতি প্রসন্ন হোন) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রসুল যখন মদীনায় আগমন করেন তখন মদিনাবাসীর সাধারণ কাজকারবার ওজনের পরিমাণে কম দেওয়া । এই ব্যাপারে তারা চুরি করতো ওজনে অথচ নেওয়ার সময় ওজন বুঝে নিত। এই সুরায় তাদের দুর্ভোগের বলা হয়েছে ।)