(পবিত্র কুরআনের আল ফাজর অবলম্বনে)
শপথ ভোরের
শপথ দশ রাতের
শপথ যুগ্ম ও অযুগ্মের
বিদায় নেয়া রজনীর কসম
আছে কি কোন বোধশক্তি সম্পন্ন লোকের কসম
তুমি কি দ্যাখোনি তোমার রব কী করেছে আচরণ
যারা ছিল 'আদ' জনগোষ্ঠী
আর 'ইরাম' গোত্রের উপর যারা ছিল উচ্চস্তম্ভের
যার সমতুল ছিল না কোন দেশে
এবং সেই 'সামুদ' সম্প্রদায়ের লোক
যারা পাথর কেটে করেছিল গৃহ নির্মাণ
আর সেই ফেরাউন সাম্রাজ্যের অধিপতি
দেশে দেশে করেছিল বিস্তার
অতঃপর বাড়িয়েছিল বিপর্যয়
ফলে তাদের উপাস্য করেন ছারখার
নিশ্চয়ই উপাস্য থাকে ঘাঁটিতে
আল্লাহ মানুষকে করে পরীক্ষা
সফল হলে দেন সম্মান
আর নানান অনুদান
সে বলে , আমার প্রভু করেছেন সম্মানিত
এই পরীক্ষা থাকে উপার্জনের সংকোচন
তখন সে বলে , আমার প্রভু করেছেন অপমান
কারণ এরা অনাথদের করে না অনুগ্রহ
এবং খাদ্যদানে কাউকে করে না উৎসাহিত
এরা উত্তরাধিকার অধিকার করে সংকোচন
এরা ধনসম্পদকে ভালোবাসে অতিরিক্ত
আল্লাহ পৃথিবীকে করবে চূর্নবিচুর ন চ
তোমাদের রব ও ফেরেশতারা থাকবে উপস্থিত
সেদিন জাহান্নাম দেখবে সুম্মুখে
তখন মানুষ করবে স্মরণ
অথচ উপকারে আসবে না স্মরণ !
সেই সময় ভাববে , হায়! আগে যদি করতাম সঞ্চয়
সেদিন তার শাস্তির মতো শাস্তি কেউ দিতে পারে না
সেই পাকড়াও হবে চূড়ান্ত
হে প্রশান্ত আত্মা
তুমি প্রত্যাবর্তিত হও প্রভুর দিকে
সন্তুষ্ট চিত্তে এবং হও সন্তোষভাজন
অতঃপর ফিরে এসো আমার দিকে
আর প্রবেশ করো জান্নাতে ।
( প্রসঙ্গত --- পবিত্র কুরআনের ৮৯ সংখ্যক এই আল ফাজর সুরায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ  জিনিসের শপথ করে অতীত জাতি আদ , ইরাম এবং বিশেষত উন্নত সামুদ জাতি কীভাবে ধ্বংস হয়েছিল আল্লাহকে অস্বীকার করায় । কেবল তাই নয় ফারাওরাজ কীভাবে ধ্বংস হয়েছিল সেকথা উল্লেখ করা হয়েছে । তাছাড়া অর্থলিপসু ও নির্দয় লোকদের সমালোচনা করাও হয়েছে । আসলে আল্লাহ্ মানুষকে অর্থ বিত্ত দিয়ে পরীক্ষা করেন । সৎ ও সৎ পথে চলা লোকদের পুরস্কারের অঙ্গীকার করা হয়েছে এবং যারা অসৎ পথে চলে , অনাথ বালক বালিকাদের সম্পদ গ্রাস করে , অভুককে খেতে দেয় না , দান করে না তাদের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা আছে সেটাও ঘোষণা করা হয়েছে । )