হে রমণী তোমার অবয়ব , তোমার অঙ্গসৌষ্ঠব চিরকাল দুর্জ্ঞেয় ,
রহস্যময়ী , অসংবৃত ; কোরকের ভিতর থেকে ক্রমশঃ পুষ্পবতী হওয়া ,
গর্ভসঞ্চার , লোলচর্ম -- এসব বৃন্তচ্যুত পুষ্পের মতো
চণ্ডাল অশোক , ভাতৃঘাতক থেকে ধর্মাশোকের ন্যায়
পরিণতির দিকে অগ্রসরমান । তোমার লাবন্যময়ী মুখ
উন্নত বক্ষদেশ , তনুমধ্যা , রম্ভোরু দীর্ঘপথ অতিক্রম শেষে
কোথায় যেন মিলিয়ে যায় মহেঞ্জোদড়ো
হরপ্পার মতো ! হে রমণী যে একদা হেলেনের মতো
ধ্বংস করেছিল ট্রয়নগরী সে এখনো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম
সমুদ্রসৈকত । মানুষের রুচি , সভ্যতা  , সংস্কৃতিতে
পরিবর্তন ঘটলেও তোমাকে নিয়ে পুরুষের উন্মাদনা
আদি পুরুষ আদম , গুহাসভ্যতা যুগের পুরুষের ,
লৌহযুগের পুরুষের কাছে যেমন ছিল
এখনো পুরুষের কাছে ক্লান্তিহীন ঠিক আগের মতো ।
হে রমণী তুমি সূর্যের চেয়েও তেজী ,
প্রভাতের স্নিগ্ধ আলোর চেয়েও কোমলতর ,
হাসনুহানা , কামিনী অপেক্ষাও তোমার
সুরভি উন্মাদনা আনে ; তোমার মৃত্যু নেই , বেঁচে থাকো
আরেক নারীর রূপে আবহমানকাল ।