( পবিত্র কুরআনের ৯৬ সংখ্যক সুরা আল আলাক অবলম্বনে )


(শুরু করছি দয়ালু ও মেহেরবান আল্লাহর নামসহ )
পাঠ করো তোমার সৃষ্টিকর্তা প্রতিপালকের নামে
যিনি  সৃষ্টি করেছেন জমাটবাঁধা রক্ত হতে মানবে
বলো তোমার মালিক মহামহিম
যিনি শিক্ষা দিয়েছেন দিয়ে কলম
সেই শিক্ষা যাতে সে ছিল অজ্ঞাত
কখনো নয় , মানুষ সীমালঙ্ঘন করে নিশ্চিত
কারণ সে স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করে নিজেকে
নিশ্চয়ই তোমরা ফিরবে সৃষ্টিকর্তার সমীপে ;
তুমি কি দেখেছো তাকে
যে করে নিষেধ
এক বান্দাকে যখন সে নামাজ পড়ে
আর তুমি কি দেখেছো তাকে
যে থাকে হেদায়তের উপরে
আর বেছে চলার দেয় নির্দেশ ;
আর সে করে মিথ্যারোপ
মুখ ফিরিয়ে নেন
সে কি জানেনা নিঃসন্দেহে আল্লাহ সব দেখেন ?
কখনো নয় যদি সে না হয় বিরত
তবে হিঁচড়ে টেনে নেবে কপালের কেশ সম্মুখস্থিত
সেই মিথ্যাবাদী পাপিষ্ঠ ললাট
অতএব সে তার করুক আহ্বান সাঙ্গদের
অচিরেই ডেকে নেব জাহান্নামের প্রহরীদের ।
কখনো নয় তুমি করবে না তার আনুগত্য
আর প্রণিপাত করে করো আল্লাহর নৈকট্য ।
(পরিপ্রেক্ষিত :-  রসুলুল্লাহ দীর্ঘদিন হেরা পর্বতগুহায় আল্লাহর চিন্তায় মগ্ন ছিলেন । একেবারে প্রথমদিকে পয়লা পাঁচটি বাক্য অবতীর্ণ এবং তারপর অনেকদিন আর কোন বাণী আসেনি । যখন আল্লাহ নবিকে পড়তে বলেন তখন তার উত্তরে নবি অকপটে জানান তিনি পড়তে জানেন না । তখন আল্লাহ তাঁকে বুকে সজোরে চাপ দেন । উপুর্যপরি তিনবার পাঠের আদেশ আসে । দ্বিতীয় অংশ মক্কার কাবায় আল্লাহর রসুল নামাজ শুরু করলে ইসলামবিরোধী তথা আবু জেহেল তাঁকে হুমকি দেয় । রসুলুল্লাহ ভয় পাননি বরং জোর দিয়ে বলেন ঐ উপত্যকায় তাঁর সমর্থক সবচেয়ে অধিক । এখানে নামাজের বিরোদীদের সতর্ক করা হয়েছে । )