শান্তিনিকেতনে
              জামাল ভড়
সকাল গড়িয়ে দুপুর , দুপুর গড়িয়ে বিকেল ; আঁধার নামবে শান্তিনিকেতনে ; মকরমপুর ঘুরে প্রান্তিক হয়ে শ্যামলী , পুনশ্চের পরে উদীচী দেখে কোনার্কের সামনে বিশ্বকবির নিজহাতে লাগানো শিমুল গাছের তলায় বসে । তারপর তারপর হোটেলে না ফিরে আমরা কোপাই নদীর পাড় ধরে এসে বল্লভপুরের  রাঙা পলাশের নিচে পাতা বেঞ্চে পাশাপাশি বসলাম ; দুজনেই দুজনের দিকে তাকিয়ে অথচ কেউ কারো মুখ দেখতে পাইনে ; কালো যবনিকা ধেয়ে আসে অথচ মনের আলোকে উদ্ভাসিত সুবর্ণ অগ্নি-স্ফুলিঙ্গ , বললাম , আমার অবগাহনের দিন ফুরিয়েছে ; একথা শুনে তুমি আঁধারেই আমার মুখ চেপে ধরে বললে একথা বলো না , তুমিই তো আমাকে ঘোর তমিস্রার মধ্যে পথচলা শিখিয়েছো , আমার আলোকবর্তিকা । এইটুকু কথায় আমার মনের বাউল একতারা নিয়ে ফকির লালন শাহের গানের কলি গুনগুনিয়ে ওঠে ।