তোমার নাকে যখন শলাকা ফুটিয়ে ছিদ্র করা হয়
নাকাল পরাতে , কানে ছিদ্র করে অলঙ্কারের নামে
বলয় পরতে বলে তখন মনে হয় এসব
কীসের জন্য ধাতব পদার্থে পাথরের চমক !
হাতে কঙ্কন পায়ে মল সেও তো বেড়ির নামান্তর
তুমি অবোলা পশু নও যে শৃঙ্খলিত করতে হবে
তোমার নিজের দ্যুতি হীরকের চেয়ে কম নয়
তবে কেন কাঁচ পাথর সোনা রূপার অযথা চাপ !
তুমি তো পণ্যদ্রব্য নও যে পসরায় সাজিয়ে
সওদা করবে কিছু স্বার্থান্বেষী পুরুষ
এ তো আধুনিকতার নামে দাসপ্রথার যুগে ফেরা !
তোমার সত্তা পুরুষের চেয়েও বলীয়ান
তুমি পুরুষের চেয়েও অনেক মহীয়সী
বেরিয়ে এসো শৃঙ্খল থেকে
তোমাকে যারা শৃঙ্খলিত করতে আসে
তাদেরই বরং করো শৃঙ্খলিত ।