( পবিত্র কুরআনের আল আলা সুরা অবলম্বনে রচিত )
পাঠ কর তোমার মহান প্রতিপালকের নাম সহ
যিনি তোমাকে সৃষ্টির পরে তোমাকে করেছেন সুষম
যিনিই করেন স্থির ও দেখান পথনির্দেশাদি
আর যাঁর ইশারায় প্রকাশিত হয় তৃণাদি
অতঃপর আমিই পাঠ করাবো যা কিছু হও বিস্মৃত
আল্লাহ যা করেন কেবল তা ব্যতীত
আল্লাহ নিশ্চিত জ্ঞাত প্রকাশ্য ও গুপ্ত বিষয়
আমি বোঝাই সহজসরল পথ প্রদর্শিত হয়
অতএব দাও উপদেশ যদি হয় ফললাভ
যার অন্তরে আছে ভয় সে উপদেশে করে লাভ
আর যে করে উপেক্ষা
সে হতভাগা ও করে অগ্নির অপেক্ষা
যথায় এই জীবন নেই মৃত্যুও নেই
সফলকাম সেই জন যে উপদেশে হয় পরিশুদ্ধ
প্রতিপালকের নাম স্মরণে নামাজ পড়ে শুদ্ধ
ইহকালে দেয় অগ্রাধিকার
পরকালে গুরুত্ব নয় তার
অথচ পরকাল হবে দীর্ঘস্থায়ী
এই দুনিয়া যখন ক্ষণস্থায়ী
লিখিত আছে পূর্ববর্তী ঐশী গ্রন্থে
ইবরাহিম ও মুসার গ্রন্থে ।
(প্রসঙ্গতঃ :- আলোচ্য সুরা কুরআন অবতীর্ণের একেবারে প্রথম দিকের একটি । রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখনও ঐশী বাণী আয়ত্ব করার অভ্যাসে রপ্ত হননি । পাছে তিনি কোন বাক্য ভুলে যান এই আশংকা করতেন । তাই স্বয়ং আল্লাহ তাঁকে আশ্বস্ত করেন ।)