অনেক ভাবনাচিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিল
সুলতান আলি এমবিবিএস , ডি সি এইচ : পেশাটিই আসল ,
এখনই বিয়ে নিয়ে মাথা ঘামালে হবে না
এর পিছনে মেহনত করলে লাভ বৈ লস নেই
এখনই বিয়েটাকে গুরুত্ব দিলে
শিশুরোগের উপর গুরুত্ব দেওয়া কমে যাবে
তাছাড়া শিশুরোগ নিয়ে যখন কথা
তাদের মনের ভাষা পড়ে নিতে হয়  ,
তাদের কষ্ট অসুবিধা হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করতে হয়
তাদের মায়েরা তো তাদের ব্যথা ঠিকমতো
প্রকাশ করতে পারে না , কেবল কাঁদার কথা বলে
স্টেথোস্কোপ শিশুর পিঠে বুকে বসাতে গিয়ে
আনমনে শিশুর মায়ের বুকে পড়ে  
সব মা কিছু মনে করে না
ভাবে গলতি সে মিসটেক ।
সকাল সন্ধে চেম্বার
আজকাল ভেজাল ওষুধে , শিশুদের জন্য পেয় দুধে ভেজাল ,
বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে শিশুদের যত্ন নিতে গিয়ে হিতে বিপরীত ,
তাই দিন দিন ডি সি এইচের চাহিদা বাড়ছে ।
যখন রোগী থাকে না তখন সুলতান আলি ফেসবুক খুলে বসে ;
বন্ধুতালিকা গোপন করা , কমন ফ্রেণ্ড ছাড়া জানা যায়না বন্ধু কারা  
নইলে কেলেঙ্কারির একশেষ , সময় সুযোগ পেলে ডাক্তার নিজেই চলে যায় ,
তবে কোন বান্ধবীর বাড়িতে নয় ,
কেউ যদি অন্য কোথাও থাকে । এভাবেও তো অনেক বছর কাটলো !
আচ্ছা এই সাঁয়ত্রিশ আটত্রিশ বছরে
কটা মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে
কোনমতেই তা মনে করতে পারে না ,
তবে চার বছর আগে সেই মেয়েটি ঝড় তুলেছিল তবে
ভাগ্যিস সুলতানের রাজনৈতিক বাঁধন বহুদূর বিস্তৃত
তাই শেষ পর্যন্ত বেশিদূর গড়াতে পারেনি ।
ইদানীং মালদার মেয়েটা যে কিনা কলকাতায় পড়তে
এসেছে সে বড্ড বেশি উত্যক্ত করছে বিয়ের জন্য ;
ডাক্তার বলে তোমাকে সব কিছুই দিচ্ছি টাকাকড়ি , সুখশান্তি সব ,
আর একটু অপেক্ষা করো  ;
নাহ্ এর সঙ্গে কাটাপ করে আবার নতুন টোপ ফেলতে হবে দেখছি ;
আবার কোন নতুন শিকারের সন্ধান ।