( পবিত্র কুরআনের আশ শামস সুরার কাব্যানুবাদ )


(পরম করুনাময় আল্লাহর নামে আরম্ভ যিনি বড় মেহেরবান )
কসম সূর্যের এবং তার রশ্মিরই
কসম চন্দ্রের যে হয় তার অনুসারী
শপথ দিবসের যখন করে সূর্যকে প্রকাশ
শপথ রজনীর সে যখন সূর্যকে করে অপ্রকাশ
কসম সেই আসমানের এবং ওই আকাশ সৃজন যাঁর
কসম জমিনের এবং তাঁর যিনি করেছেন বিস্তার ;
শপথ প্রাণের যিনি করেছেন সমঞ্জস মানবমনে তার
এবং তিনিই করেছেন অবহিত পাপ ও পুণ্য ;
সেই হবে সফলকাম যে তাকে করেছে গণ্য
আর সেই হবে বিফল যে নাফসকে করেছে দূষিত
সামুদ জাতি অবাধ্যতা করে হয়েছিল অস্বীকৃত
সর্বাধিক হতভাগা সে যে হয়েছিল মূল বিদ্রোহী
তখন আল্লাহর রসুল বলেন , দিও না বাধা এই উটকে পানির পিপাসা মেটাতে ।
কিন্তু হতভাগার দল উটের পায়ের শিরা কাটে
আর প্রতিপালক আল্লাহ্ তাদের পাপের কারণে
করে ধ্বংস মাটিতে করে বিলীন
আর তিনি এ কাজের পরিণতিতে একেবারে ভয়হীন ।
(প্রসঙ্গ : যুগলের অস্তিত্ব চন্দ্র-সূর্য , দিবস-রজনী , আসমান-জমিন প্রভৃতি প্রাকৃতিক জগতের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ । তেমনি সৎ ও অসৎ প্রবৃত্তি তথা পাপ ও পুণ্য ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণে মানুষকে প্রবৃত্ত করানো । নিজেকে নিয়ন্ত্রণে আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটে । আলোচ্য সুরায় কুরাইশদের স্মরণ করে দেওয়া হয়েছে সামুদ জাতির ইতিহাস যারা তাদের নবি সালেহকে অমান্য করে উষ্ট্রীকে হত্যা করার জন্য ধ্বংস হয়েছিল)