(পবিত্র কুরআনের ৮১ সংখ্যক সুরা আত তাকভিরের ভাবানুবাদ)
( আল্লাহর নামে করি শুরু যিনি রহিম ও রহমান )
যখন সূর্যকে অকেজো করা হবে
আর নক্ষত্ররাজি হবে চির নির্বাপিত
পর্বতসমূহ হবে সঞ্চালিত
আসন্নপ্রসবা উষ্ট্রীরা হবে উপেক্ষিত
বন্য পশুরা হবে একত্রিত
সমুদ্র হবে ভয়ানক উত্তাল
যখন আত্মাগুলোকে সমগোত্রদের সাথে হবে মিলিত
আর যখন জীবন্ত দাফন করা কন্যা হবে জিজ্ঞাসিত
কী অপরাধে হয়েছে হত ?
যখন মানুষের সকল কর্মকাণ্ড সবে প্রকাশিত
এবং আকাশরূপী ছাদ হবে উন্মুক্ত
আর জাহান্নাম হবে প্রজ্বলিত
বেহেশত হবে নিকটতর
সবাই হবে জ্ঞাত
কী তার সঞ্চিত ।
শপথ পশ্চাদপদ নক্ষত্রের
যা চলমান অথচ অদৃশ্য
আর শপথ রজনীর
যখন বিদায়ী
শপথ প্রভাতের
দেখি তার আগমনের
নিশ্চয়ই কুরআন রসুলের উচ্চারিত বাণী
তিনি শক্তিমান খোদার নিকট মহীয়ান
মাননীয় এবং বিশ্বস্ত
কারণ তোমাদের সাথী নহে উন্মাদ
রসুল তাঁকে দেখেছেন দিগন্তের মাঝে
তিনি তো অদৃশ্য সম্পর্কে নহে কৃপণ
ফলে এই বাণী নহে কোন শয়তানের বচন ;
তোমরা পালাও কোথায়
এতে লুক্কায়িত মানবের জন্য উপদেশ
যে চলতে চায় সরল পথে কেবল তার নিমিত্ত
আর তোমরা পারো না যদি না আল্লাহ ইচ্ছা করেন।
( মূল বিষয় :-- এই সুরায় একটি দিক পরকাল ও অপর দিকে বার্তা বহনের বাণী প্রকাশিত । মহাপ্রলয়ের সময়ে কীভাবে সূর্য রশ্মিহীন হবে , তারা নক্ষত্র কীভাবে ছিন্ন-ভিন্ন ও বিক্ষিপ্ত হয়ে যাবে , পর্বতসমূহ উৎপাটিত হয়ে শূন্যে উড়তে থাকবে , আমার আপনার অতি প্রিয়তম জিনিসের দিকে আমার আপনার লক্ষ্য থাকবে না । জন্তু জানোয়ার দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে একস্থানে জড়ো হবে , সমুদ্র উদ্বেলিত হবে । আগের সকল মৃত প্রাণ ফিরে পাবে , তাদের কৃত কর্মের হিসাব খোলা হবে । কর্মফল অনুসারে তাদের শাস্তি ও পুরস্কার দেওয়া হবে । এরপর মক্কাবাসীদের জানানো হয়েছে আল্লাহর রসুল যা পেশ করছেন তা কোন পাগলের প্রলাপ নয় , শয়তানের প্রতারণামূলক কথা নয় । মহান আল্লাহর বাণী রসুল বাহক মাত্র । অতএব তারা যেন বিমুখ না হয়ে চলে যায় ।)