ভলতাভা নদীর পাড় বরাবর যখন হাঁটছিলাম
তোমাকে তখন বড্ড মনে পড়ছিল
ভীষণ ইচ্ছে করছিল তোমার হাত ধরে
ভলতাভাকে সাক্ষী করে প্রাগে ঘুরে বেড়াই
প্রাগের প্রকৃতি তোমার মতোই নীরব
চোখে কথা বলে , হৃদয়ে শরীরের উষ্ণতা ।
ভিসেরাদ পার্কের লাবণ্য তোমার মুখের মতো
তুমি থাকলে ভরৎবোভোস্কা বাগানে
তোমাকে নিয়ে হারিয়ে যেতাম
দিভোকা সার্কার পাগলকরা প্রকৃতির মাঝে
দুজনে লুকোচুরি খেলতাম ; ইচ্ছে করে
ফুলবাগিচায় লুকিয়ে থাকতাম , তুমি খুঁজতে ।
ভলতাভা নদীর ধার দিয়ে যখন হাঁটছিলাম
তোমাকে ভীষণ মনে পড়ছিল
ইচ্ছে করছিল চার্লস ব্রিজের উপরে
তুমি হাঁটবে আর আমি পিছু পিছু তোমার ছন্দোময়
গতির সাথে সুর মিলিয়ে গুনগুনিয়ে
ভালোবাসার রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবো ;
ব্রিজ পেরিয়ে সেই ময়ূর পার্কে বসে
তুমি ময়ূরকে খেতে দেবে , আমি দেখবো ।
তারপর দুজনে হাঁটতে হাঁটতে চড়াই ভেঙে
প্রাগ দুর্গের চত্বরে দাঁড়িয়ে চারিদিকে দেখবো
আর নীচের প্রাগ শহরের অপরূপ রূপ
দেখে তোমার ডাগর দুটি চোখ বিস্ময়ে যাবে ভরে ;
ব্লু লাইন মেট্রো ধরে প্রাগের জাতীয় যাদুঘরে
যেতে চাইলে তুমি আপত্তি করবে
বলবে তার চেয়ে বরং দুজনে
ভলতাভা নদীতে এক নৌকোয় ঘুরে আসি
চাঁদের আলো তোমার সারা শরীরে
হিমেল হাওয়ায় তুমি ওড়না জড়াবে
আর আমার শরীরী উষ্ণতা দিয়ে তোমাকে আগলে রাখবো
এখানে কেউ কারো দিকে আগ্রাসী দৃষ্টিতে দেখে না
তাই চেনা শহরে হাত ধরে ঘুরে বেড়ানোর সময় যেমন
শত কৌতূহলী চোখ উঁকি মারে  এখানে কেউ নেই
নজরবাণে বিদ্ধ করার , এখানে কেউ আসে না
ভালোবাসা কেড়ে নিতে  , কেউ আসে না
ভালোবাসায় ভাগ বসাতে ;
ভলতাভা নদীর তীরে যখন হাঁটছিলাম
তখন ভীষণ মনে পড়ছিল তোমাকে ।