কেল্টুর ভাই বিল্টু ছিল এমন পাজি বিচ্ছু
ভূতের নামে ভণ্ডবাজি , বলে ওসব নেই কিচ্ছু !
যতই লোকে বলে তাকে ভূত আছে তিন সত্যি
ভূতের নামে আজেবাজে বলিস না এক একরত্তি !
বিল্টু তবু বেপরোয়া আর  হাড় বদমাশ ছেলে
বলে , হাড়মাঁস চিবিয়ে খাবো ভূতের দেখা পেলে ।
এই কথাটাই কীভাবে যে গেল ভূতের কানে
চৌদ্দ চ্যালা লাগিয়ে দিল , থাকলো সুযোগ পানে ।
সেদিন রাতে বিলটু ফেরে একলা নদীর ধার দিয়ে
চৌদ্দ চ্যালা চ্যাংদোলাতে পালিয়ে গেল তুলে নিয়ে
কেল্টুর ভাই বিল্টু পড়ে তখন অকুল পাথারে
দেখলো শেষে শুয়ে আছে শ্মশানঘাটের ধারে ;
চৌদ্দ ভূতে বলছে তাকে , আমরা কারা ভূতের চ্যালা
কে খায়  কার হাড়মাঁস দেখি এবার তুই বুঝবি  ঠ্যালা
কী কুক্ষণে অলক্ষুণে কথা আমি বললাম ছাই
আজকে বুঝি এই রাত্রে আমার কোন রেহাই নাই
কাঁচুমাচু মুখে তখন বিল্টু ধরে ভূতের পায়ে
বিল্টু বলে , ভূত বাবাজি , বড্ড ব্যথা আমার গায়ে
দিচ্ছি আমি নাকে খত আর খাচ্ছি দ্যাখো কানমলা
ক্ষমাঘেন্না দাও না করে , আবার বলে কোন শালা !
তোমরা হলে ভূতবাবাজি , আমার ধরম বাপ
একটিবারের জন্য আমায় করো তোমরা মাফ !
এবার যদি ভূতের নামে কেউই বলে বাজে কথা,
কথা দিলাম সবার আগে চিবিয়ে খাবো তার মাথা ।