সাহিত্য যেমন সমাজ থেকে রসদ সংগ্রহ করে, তেমনই সমাজকে প্রভাবিতও করে l সমাজ এক বহতা নদীর মতো l সাহিত্য তার পাড় বেঁধে দেয় l
পরিতোষ ভৌমিক (অমায়িক কবি) রচিত "আমার স্পন্দন" কবিতাটি একটি সমাজমনস্ক রচনা l যে সময়ের মধ্যে দিয়ে বর্তমান সমাজ চলেছে তার হৃৎস্পন্দন ফুটে উঠেছে কবিতাটির পঙক্তিতে পঙক্তিতে l জীবন তার স্বাভাবিক স্বাধীনতা হারিয়েছে l অপশক্তির দাপটে যেন বন্দীজীবন যাপন করছে l একই সূত্র ধরে মানুষের মননকেও অবরুদ্ধ করে রাখার এক অশুভ প্রয়াস চলেছে l চারিদিকে শ্বাসরুদ্ধকর এক অবরুদ্ধ পরিবেশ l
নিঃশব্দ রাতে ঘটে চলেছে অঘটন, যার স্মৃতি কেবলই দুঃস্বপ্নের জন্ম দেয় l চারিদিকে শোনা যায় শুধু আতঙ্কের চিৎকার l যারা ক্ষমতাধর, প্রতিনিয়ত তাদের আস্ফালন, অহঙ্কার, আকার-ইঙ্গিতে খুনোখুনির হুমকি শালীনতা ছাড়িয়ে গেছে l মানুষ বড়ো অসহায়, সর্বত্র তাদের মুখ ম্লান l বাগীশ, বাঙ্ময় নাটক, চিরায়ত শিক্ষা - সব আজ পথহারা, বাকরুদ্ধ l জীবননাটকে শুধু অশ্রুবর্ষণ l প্রতিটি মুহূর্তে শুধু অভিরাম সর্দারেরা হেসে যায় l সময় এমনই বিপন্ন এখন l ইশানকালো মেঘে দিগন্ত আবৃত l বাতাসে অ্যাসিডের গন্ধ l সব আবর্জনা উড়িয়ে নিয়ে যাবার শক্তিধর কালবৈশাখী আজ অক্ষম l কোনো প্রতিরোধ নেই l প্রতিবাদ নেই l অবাধে সমাজজুড়ে অন্যায় অপশাসন চলছে l পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে রয়েছে l আবর্জনার স্তূপে দুর্গন্ধ ।এই অভিশাপ বুকে নিয়ে সময় এগিয়ে চলেছে l
তবু আশা শেষ হবার নয় l অন্যায় শেষ কথা বলে না l আবার সূর্য উঠবে, আবার বর্ষা নামবে, আবার নিষ্পাপ শিশুরা এই পৃথিবীর বুকে স্বধীনতার শ্বাস নিবে l এই প্রতীকী প্রত্যাশা নিয়ে কবিতাটি শেষ হয়েছে l


কবিতাটিতে বর্তমান সমাজবাস্তবতাকে তুলে ধরেছেন কবি l
কবিকে জানাই আন্তরিক শুভকামনা !!!