এখন আগের মতো রোদ নিয়ে গর্ব করি না
পেখম তুলে যে ময়ূর নেচে গেছে সাতসকালে
অপরাহ্নে তার জৌলুষেও কাঁটা লাগে
খঞ্জনীর সুরে গান গেয়েছিল যে মেয়েটি স্টেশনে
আর পার ভেঙে মাঠে ঢুকেছিলো একপাল গরু
জ্যোৎস্নার চাঁদও বুঝি এতটা লজ্জা করে নি
যেমনটা নতুন ক্ষেতের ফসল
ফসল কাটা শুরু হতেই দাম পড়ে গিয়ে
মহাজনদের ঋণের বোঝা আর কমে না
গর্ব ছিলো এককালে, যখন চাষবাসে কৃত্রিমতা ছিলো না
প্রকৃতি উজাড় করে দিয়েছিলো রোদ বৃষ্টি বাতাস
এখন রোদ কিনে নিতে, জল ছেঁকে নিতে
গেরস্থের পকেটে টান পড়ে
বনে পশুরা ভুলে গেছে তাদের স্বাভাবিক চলন
সবাই যেন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় প্রশিক্ষিত হয়ে চলেছে
শিশু এখন কাঁদার বয়সেই স্কুলে যায়
স্বাভাবিকভাবে যা শিখতো
গ্রামার মেনে শিখছে তার কম
জ্যোৎস্নার চাঁদ ভুলে, বৃষ্টির ছন্দ ভুলে
হরিণের চাল, ময়ূরীর শরীরী ভাঁজ এখন নার্সারির রাইম মুখস্থ করছে l
1291