কবিগুরু
তোমাকে কতোটা জানি ?
সেই ছোটবেলা থেকে তোমার সঙ্গে আলাপ
পাঠ্যপুস্তকে, অনুষ্ঠানমঞ্চে, পরীক্ষার খাতায়
বিবর্তনের ধারায়, পক্ষ প্রতিপক্ষের উদ্ধৃতিতে
বিপ্লব - সন্ধি ও বিদ্রোহে l
তুমি এত লিখেছ রবীন্দ্রনাথ
ভাঙতেও তোমাকে উদ্ধৃত করি, এবং গড়তেও l


তোমার সঙ্গে আলাপ হয়েছে রেডিওতে,  
দূরদর্শনের পর্দায়, চলচ্চিত্রে
তোমার গান শুনেছি,
আবৃত্তিকারদের কন্ঠে তোমার কবিতা
তোমার গল্প কবিতা পড়েছি
সিলেবাসের মধ্যে এবং বাইরে
তোমাকে নিয়ে রচনা মুখস্থ করেছি
পরীক্ষার খাতায় লিখেছি পাতা জুড়ে
- তারপর ভুলেও গেছি l


তোমাকে কতোটা জানি ?
একসময় তুমি পাঠ্য বিষয় ছিলে
এখন জেনেছি  
তুমি বাঙালির পরিচয়, অভিমান
২৫ শে বৈশাখ, ২২ শে শ্রাবন আমাদের সংস্কৃতি l


তুমি বিশ্বমানবিকতার মুখ
২য় বিশ্বযুদ্ধে সভ্যতার সংকটদিনে
শক্তিধর রাষ্ট্রগুলির অস্ত্রের আস্ফালন
আর মানবতার চরম অবমাননা
ব্যথিত করেছিল তোমাকে l
ব্যথিত হৃদয়ে আশা ব্যক্ত করেছিলে -
উন্মত্ত দানবিকতার এই দাপট একদিন নিরস্ত হবে শুভবুদ্ধির নির্মল আকাশে মানুষ চোখ মেলবে ।


রোগশয্যায় তুমি সয়ে গেছো শরীরযন্ত্রণা
তবু সৃষ্টিমুখর
মৃত্যুর মধ্যে গেয়েছ জীবনের জয়গান l


কবিগুরু
যতোটা ভালোবেসেছ তুমি সকলকে আজীবন
বিনিময়ে পেয়েছো কি তার ছিটেফোঁটা ?


আজ এই শব্দমালা তোমাকে ঘিরেই আবর্তিত কবি  l


##
কবির মহাপ্রয়াণ দিবসে কবির চরণে শতকোটি প্রণাম