সিঁড়ি গুনে দোতলাতে উঠেছিলো শান্তা
ভাবখানা করেছিলো যেন সবজান্তা l
সিঁড়িগুলো আজগুবি চলে গেছে ওপরে
এঁকেবেঁকে ট্যারাবেঁকা ঝাঁঝরির ফোঁপরে l
গুণে সিঁড়ি উঠে যায় এক দুই তিন চার
তাড়াহুড়ো ব্যস্ততা পিছে থাকে সংসার l
সিঁড়িঘরে আলো কম ধুলোময় জঞ্জাল
হাঁপে শেষে টান ওঠে বয়সেতে আজকাল l
তবু ছাদ জরুরী সিঁড়ি তার ভরসা
ছাদে তো যেতেই হয় শীত কিবা বর্ষা l
মেলে দেয় ছাদে পুরো পোশাকের আলনা
লাল নীল ঝকমারি জল শুষে চালনা l
দড়িগুলো ঝুলে আছে এদিকে ও ওদিকে
হাল্কা বাতাসে ওড়ে পোশাকের কল্কে l
চিমটার মতো পিনে পোশাকের শাসনে
সব তারা গেঁথে থাকে নিজ নিজ আসনে l
সংসার কাজ সেরে মাঝে মাঝে ছাদে যায়
গোনা তার অভ্যাস বাকিটা সে নিরুপায় l
শান্তার সিঁড়িঘরে সিঁড়িগুলো শান্ত
কথাটা সে বরাবর ভালোমতো জানতো l
একদিন ক্ষেপে গিয়ে সিঁড়িগুলো সরলো
শান্তা সেইদিন সেইদিন মরলো l