(ডিসেম্বর মাস দুই বীর বিপ্লবী শহীদ ক্ষুদিরাম বসু ও  প্রফুল্ল চাকীর জন্মদিন (যথাক্রমে ৩রা ডিসেম্বর ও ১০ ডিসেম্বর) l তাঁদের অমর আত্মার স্মরণে শ্রদ্ধা !!)


দেশ স্বাধীন করলেন যাঁরা :


দেশ আমাদের মায়ের মতো মায়ের পায়ে শিকল বেড়ি
সেই শিকলের খুলতে আগল দু'শ বছর লাগলো দেরি l
নরম এবং গরম পথে চললো প্রয়াস আন্দোলন
গান্ধীজি তাঁর নরম পথে প্রফুল্ল ক্ষুদিরামের গরম l


দেশকে ভালবাসলেন যাঁরা দেশের জন্য উজাড় প্রাণ
সে আমাদের প্রফুল্ল চাকী সে আমাদের ক্ষুদিরাম l
জেলা জজ কিংসফোর্ড এর অন্যায় রায়ের শিকার
স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ওপর বিচারের নামে অত্যাচার l


ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল চাকী বোমা ছোঁড়েন লক্ষ্য করে
কিংসফোর্ড গেলেন বেঁচে ভুল অনুমান তার জেরে l
দুই মহিলা ইংরেজ তাঁরা মারা গেলেন সেই আঘাতে
ফাঁসির মঞ্চ ক্ষুদিরামের প্রফুল্ল মরেন নিজের হাতে l


দেশ স্বাধীন করলেন যাঁরা দেশের জন্য উজাড় প্রাণ
অমর আত্মা মহাপ্রাণে জানাই শ্রদ্ধা জানাই প্রণাম l


বসন্ত :


জীবিত থাকলে আজ যাঁর
একশো বত্রিশ বছরে পা দেবার কথা ছিলো
কুড়িটা বসন্তও দেখেননি তিনি
কারণ নিজের দেশকে স্বাধীন দেখতে চেয়েছিলেন
ইংরেজ পুলিশের হাত তাঁকে ছুঁয়ে ফেলার আগেই
নিজের বন্দুক থেকে ছোঁড়া গুলি
মাথা ঝাঁঝরা করে দিয়েছিলো তাঁর
দলের নির্দেশ, কোনোমতেই ধরা পড়া নয়
শত্রুর হাতে কোনো প্রমাণ, কোনো তথ্য নয়
তার আগেই নিজেকে নিঃশেষ করে দাও -
অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়েছিলো সেই নির্দেশ l


একটি বোমা, নিখুঁত তাকে ঝাঁজরা করেছিল গাড়িটাকে
কিন্তু অত্যাচারী সিম্পসন সাহেব মরেন নি সেদিন
মারা গেলেন সেই গাড়িতে থাকা তিন ইংরেজ মহিলা
সঙ্গী ক্ষুদিরাম ধরা পড়লেন
ফাঁসির মঞ্চে জীবনের জয়গান গেয়ে গেলেন তিনি
স্বাধীন ভারতের প্রথম দু'জন শহীদ
প্রফুল্ল চাকী এবং ক্ষুদিরাম বসু
নিজের জীবনে কারুরই কুড়িটা বসন্ত দেখা হয় নি
কারণ তাঁরা দেশের জীবনে বসন্ত দেখতে চেয়েছিলেন l


##
প্রফুল্ল চাকী (১০ ডিসেম্বর ১৮৮৮ - ২ মে ১৯০৮) ক্ষুদিরাম বসু (৩ ডিসেম্বর ১৮৮৯ - ১১ আগস্ট ১৯০৮)